শিশুদের বন্দিত্ব ঘুচবে কবে?

মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমে আসছিল। সবার মনে আশা জেগেছিল এই বুঝি স্বাভাবিক হচ্ছে বাংলাদেশ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দিন তারিখও ঘোষণাও করেছিল সরকার। কিন্তু সবকিছুই ভেস্তে গেল আবার। শিশুদের অলিখিত বন্দিত্ব ঘুচল না।
শিশুদের বন্দিত্ব ঘুচবে কবে?

সংক্রমণ প্রতিদিনই রেকর্ড গড়ছে এখন। ভয়াবহ হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি। সামলানোর জন্য ফের লকডাউন ঘোষণা করা হলেও জীবন জীবিকার কাছে হেরে যেতে হচ্ছে। এ যেন ভাইরাসেরই জয় জয়কার। আমাদের হেলা ফেলার কথাটা বাদই দিলাম। আমরা তো এখনো অনেকে বিশ্বাসই করি না ভাইরাসটার ভয়াভহতা কতটুকু।

এমন একটা পরিস্থিতিতে শিশুদের কথা কি কেউ ভাবছে? পরিবারের বড় সদস্যদের স্বাস্থ্যবিধির প্রতি অনাগ্রহ আর উদাসীনতা ছোটদের জন্য বিপদ হয়ে ধরা দিচ্ছে। খবরে প্রকাশ ঢাকা শিশু হাসপাতালে আট শিশু দেহে করোনাভাইরাস নিয়ে ভর্তি আছে। চিকিৎসকরা এটাও বলেছেন, শিশুরা বড়দের দ্বারাই আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। 

শিশুরা যে শুধু করোনাভাইরাস দ্বারাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এমনটি নয়। শারিরীক ও মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে তারা। ফলাফল হিসেবে শিশুদের মধ্যে স্থুলতা বাড়ছে, শারিরীক জটিলতা, মন মেজাজ খিটখিটে থাকা, পড়াশোনায় মনযোগ দিতে না পারাসহ নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। 

সামাজিক জীব হয়েও এক প্রকার অসামাজিক জীবন যাপন করতে হচ্ছে। অনলাইন নির্ভর জীবন নিয়ে বেঁচে থাকতে হচ্ছে। নতুন বাস্তবতাকে মেনে নিতে কতটা কষ্ট করছে শিশুরা তা হয়ত অনেকে গুরুত্বই দিবে না। তবে এটাই সত্য।

এক বছর পর করোনার এই নতুন ঢেউ মোকাবিলা করাটাই এখন শিশুদের জন্য একটি বিরাট চ্যালেঞ্জ। শিশুরা কতটুকু সামলে নিতে পারবে সেটিই দেখার বিষয়। শিক্ষক, অভিভাবক, গণমাধ্যম, রাষ্ট্র সবাইকেই সহযোগিতা করতে হবে বলে মনে করি।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com