হ্যালোর একাধিক প্রতিবেদনে আমার সহকর্মী শিশু সাংবাদিকরা তুলে এনেছে বন্দী এই সময়ে শিশুদের অবস্থা। যেখানে বেশির ভাগ শিশুই হ্যালোকে বলার চেষ্টা করেছে তারা মানসিকভাবে বেশি কষ্ট পাচ্ছে। মহামারি এই পরিস্থিতিতে হাতে অনেক সময় থাকলেও বিমর্ষ থাকাসহ পড়াশোনায় মনযোগী হতে পারছে না তারা।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গেলে শিক্ষকদের সাথে কথা হতো, বন্ধুদের সাথে আড্ডা হতো, খেলাধুলা করা হতো। কিন্তু এসব থেকেই আমরা এক বছরের বেশি সময় ধরে বঞ্চিত। স্কুলে বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠান হতো, তারজন্য প্রস্তুতি চলত অনেকদিন ধরে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্যও চলত প্রস্তুতি। কিছুই আর আমরা পাচ্ছি না এখন। শুধু তাই নয় বাসা থেকেও অভিভাবকরা এখন বের হতে দিতে চান না।
স্বাস্থ্য সচেতনতায় বেশি খেয়াল রাখতে পারব না ভেবে অভিভাবকরা নানা কড়াকড়ি আরোপ করে রেখেছেন আমাদের ওপর। তাই দিনে অধিকাংশ সময় বাড়িতেই কাটছে স্মার্ট ফোন, টিভি আর কম্পিউটার নিয়ে। যেগুলো এক সময় বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। একমুখী বিনোদন একঘেয়েমিও তৈরি করে। যেটি মন বিমর্ষ রাখার একটি কারণ বলে আমি মনে করি।
হ্যালোতে অনেক প্রতিবেদন দেখেছি যেখানে শিশুরা নানা সৃজনশীল কাজ করছে। কেউ আবৃত্তি, কেউ নাচ, কেউবা গান। আবার অনেকে অনেক কিছু তৈরি করেও ফেলছে। আমি মনে করি এভাবে নিজেকে আমরা ব্যস্ত রাখতে পারলে অনেক নতুন কিছু যেমন শিখতে পারব ঠিক তেমনি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি উপকার হবে।