হ্যালোর অষ্টম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জানাই শুভেচ্ছা। অনেক কিছু দিয়ে ঋণী করেছে হ্যালো। যে আমি মানুষের সামনে কথা বলতেই ইতস্তত বোধ করতাম সেই আমি এখন সবার সামনে অনর্গল কথা বলতে পারি।
হ্যালোর পরিবারের একজন আমি এটা ভাবতেই গর্ব হয় আমার। মানুষের প্রতি কেমন আচরণ করা উচিত সেই শিক্ষাটাও নিয়েছি আমি হ্যালো থেকে। এখানে আসার পর অনেকের সাথে পরিচয় হয়েছে। কেউ সনাতন ধর্মাবলম্বী, কেউ মুসলমান কেউবা জাতিগত বা ধর্মের দিক থেকে অন্য সম্প্রদায়ের। প্রত্যেকেই আমরা একটা পরিবারের হয়ে গেছি। প্রত্যেকেই মিলেমিশে কাজ করছি অন্যায় আর অসঙ্গতির বিরুদ্ধে।
হ্যালোতে যোগ দেওয়ার পর আমার বেশ শক্তভাবে উপলব্ধি হয়েছে মানুষের অধিকার জিনিসটা আসলে কী। ধর্ম, বর্ণ, বয়স, লিঙ্গ সবার সমান সুযোগ প্রাপ্তির অধিকার দিয়েছে আমাদের সংবিধান। অন্য ধর্মের একটা মানুষকে আক্রমণ করা যাবে না, তাকে কষ্ট দেওয়া যাবে না- হ্যালোর এই বার্তাগুলো আমাকে ছুঁয়ে গেছে।
স্মৃতি থেকে একটি কথা আজ ভাগাভাগি না করলেই নয়। ২০২০ সালে হ্যালো আমাকে জাতিসংঘ শিশু তহবিল ইউনিসেফের একটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেয়। বাংলাদেশ পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হবার দুমাস পর আমাদের গ্লোবার রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে ৮৪টি দেশের প্রতিনিধি, বিজয়ী ছাড়াও, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ছিলেন। মনোনয়ন দেওয়ার সময় বলা হচ্ছিল, ‘আ চাইল্ড জার্নালিস্ট অব হ্যালো’। যে কথাটা আমার কানে আসার পর মনে হয়েছিল এটা আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ একটি অনুভূতি।
এমনই বহু ভালো লাগার মুহুর্ত দিয়েছে এই প্ল্যাটফর্মটি। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতি কৃতজ্ঞতা যে, শিশুদের মূল ধারার গণমাধ্যমে কথা বলার জন্য এত বড় একটি সুযোগ করে দিয়েছে। আট বছর বয়সী হ্যালোর সঙ্গে আমার পথচলা কেবল দুবছরের। কিন্তু আজীবন মনে রাখার মতো গল্প তৈরি করে দিচ্ছে হ্যালো।