ফল খারাপ করার থেকে খারাপ কিছু যেন আর নেই বললেই চলে। যে পরীক্ষার খাতায় কম পায় সে আর কিছু করতে পারে না, এটাই যেন হয়ে গেছে ধ্রুব সত্য। শ্রেণিতে প্রথম হওয়া, মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পাওয়া, ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াটাকেই যেন সফলতা হিসেবে ধরে নিয়েছি আমরা।
আমি বলছি না বুয়েটে যারা পড়ার সুযোগ পেয়েছেন তারা খারাপ বা বিফল। আমি বোঝাতে চাচ্ছি সত্যিকারের মানুষ হওয়ার জন্য অতটুকুই যথেষ্ট নয় বা ওটাই শেষ কথা নয়। বুয়েটে পড়াশোনা করেও তো খুনের মতো ঘৃণ্য কাজ করতে দেখেছি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা ভালো ফলাফলের হাত নেই এখানে। সত্যিকার মানুষ হওয়ার ঘাটতি আছে।
শিক্ষার্থী বয়সে আমাদের আশে পাশের মানুষগুলো আমাদের মনকে বিষিয়ে দেয়। কেন ভালো ফল করতে পারলাম না, কেন অনেকগুলো পুরষ্কার নেই আমাদের ঝুলিতে। আমাকে তখন উৎসাহ দেওয়ার কেউ নেই। এভাবে মন ছোট হয়ে যায় এবং নিজেকে মনে হয় আসলেই বুঝি আমি ব্যর্থ।
এমনটাই তো মনে হবার কথা, কেননা শিশু জন্মের পরই তো তাকে শেখানো হয় প্রথম হতে না পারলে জীবনে কিছু হবে না। জিপিএ পাঁচ না পেলে ভবিষ্যৎ অন্ধকার।
কিন্তু কেউ শেখায় না সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো নিজের জীবনকে বাঁচতে দেয়া। সঠিক মানুষ হওয়ার শিক্ষা গ্রহণ করা, পারিবারিক, সামাজিক মূল্যবোধগুলো নিজেদের মধ্যে তৈরি করা। একজন সৎ, মুল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ নিজের জন্য, দেশের জন্য, মানুষের জন্য অবদান রাখতে পারে। জীবনের স্বার্থকতা, সাফল্য তো এখানেই।