আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল পাবনায় বড় বোনের বাসায় বেড়াতে যাব। আমার ক্লাস শেষ হলো বিকেল চারটায়। বাসায় ফিরে সব কিছু প্রস্তুত করতে ৩০ মিনিটের মতো সময় লেগে গেল।
এরপর রওনা দিলাম। বাস স্টপেজে পৌঁছাতে সময় লাগল দেড় ঘণ্টার মতো। একটা টিকিট কিনে নিলাম ৪৫০ টাকায়। পথে খাওয়ার জন্য কিছু খাবারও কিনে নিলাম। সন্ধ্যা ৭ টার দিকে বাস ছাড়ল।
ভ্রমণটা ভালোই চলছিল, তবে হঠাৎ করেই বাসের একটা চাকা ফেটে গেল। এখানে লেগে গেল ২০ মিনিট। তারপর ঠিকঠাক হলে আবার চলতে শুরু করে বাস। চার ঘণ্টা পর যাত্রা বিরতি দেওয়া হলো। নেমে একটু ফ্রেশ হলাম আর কিছু খেয়ে নিলাম।
আধা ঘণ্টা বিরতি দিয়ে আবারও ১১:৫০ এ যাত্রা শুরু করল বাস। আমি ঘুমিয়ে পড়লাম। বাসের সহযোগীকে বললাম ক্যাডেট কলেজের সামনে গিয়ে জাগিয়ে দিতে। রাত দেড়টার দিকে তিনি আমাকে জাগিয়ে দিলেন। পৌঁছে দেখি আপু-দুলাভাই খাবার রান্না করে নিয়ে বসে আছে। হাত মুখ ধুয়ে সবাই মিলে খেয়ে ঘুমাতে যাই আমি।
পরেরদিন সকালে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাশতা করি এবং হেমায়েত পুর অর্থাৎ মানসিক হাসপাতালে যাবার জন্যে প্রস্তুতি নেই। মানসিক হাসপাতাল যদিও ঘোরার জায়গা নয় তবে মনে হলো যাই এসেছি যখন ঘুরে আসি।
তাই আমি আর আমার এক ভাই সকাল ১০ টায় রওনা করি বাসা থেকে। আমরা একটি সিএনজি চালিত অটো রিকশা ভাড়া করি একশ টাকা দিয়ে এবং রওনা করি। ২৫ মিনিটে পৌছেঁও যাই।
এরপর কথা বলে সোজা ঢুকে পরি হাসপাতালে। যদিও সবাইকে হাসপাতালের ভেতরে যযেতে দেয় না কিন্তু আমাদের পরিচিত থাকায় আমরা এই সুযোগটুকু নিলাম। এটা আসলে ঠিক হয়নি।
এটি আয়তনে বেশ বড়ই ছিল। হাসপাতাল ঘুরে আমরা রওনা করি পাবনা প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে। দুপুর ২.১০ মিনিটে পৌঁছে যাই বিশ্ববিদ্যালয়ে। এসময় প্রচুর ক্ষুধা পাওয়ায় খাবার খেয়ে নিই।
এরপর বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে দেখি। বিশ্ববিদ্যালয়টি অনেক বড়। আর তাই আমরা সব জায়গা ঘুরতে পারিনি। কিছু জায়গা দেখেই চলে আসি।
ভ্রমণ যত অল্প সময়ের হোক না কেন এটা থেকে মানুষ শিক্ষা পায়। তাই তো আমি সুযোগ পেলেই বেরিয়ে পড়ি।