প্রাচীন মন্দির, মসজিদ, রাজবাড়িগুলো সবসময় টানে আমাকে। এগুলো দেখলে মনে হয় যেন অতীতে চলে গেছি আমি। ইতিহাস যেন চোখের সামনে মাথা উঁচু করে দিব্যি দাঁড়িয়ে আছে।
এই তো সেদিন গিয়েছিলাম পশ্চিমের জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জে। ঘুরে এলাম ‘দারাসবাড়ি মসজিদ’। যদিও আমার জন্মস্থান চাঁপাইনবাবগঞ্জেই। কিন্তু পড়াশোনার জন্য থাকতে হয় রাজশাহীতে।
একদিন সন্ধ্যায় বাবা গল্প করতে করতে হঠাৎ দারাসবাড়ি মসজিদের কথা বললেন। সেই সঙ্গে এর ইতিহাসও। বাবা বলছিলেন আর আমরা দুই ভাই-বোন মন দিয়ে শুনছিলাম। মনে মনে একটা প্রস্তুতিও নিচ্ছিলাম যে যেতে হবে জায়গাটাতে।
এক সপ্তাহ পরই আমরা রাজশাহী থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদ্দেশ্যে বাসে করে রওনা হলাম। আমি সবসময় জানালার পাশে বসতে পছন্দ করি। দম আটকা ভাবটা তাহলে আর লাগে না। ফুরফুরে বাতাস আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে পৌঁছে গেলাম চাঁপাইনবাবগঞ্জ ।
পরদিন সকাল সকাল অটোরিকশায় চেপে বেরিয়ে পড়লাম দারাসবাড়ি মসজিদের পথে।
গভীর আম বাগানের মধ্যে দিয়ে কালো পিচঢালা রাস্তায় ভ্রমণ করা সত্যিই এক স্মরণীয়
মূহুর্ত। প্রায় এক ঘণ্টা পর আমরা পৌঁছে গেলাম গন্তব্যে। প্রাচীন এই মসজিদটি ছবির চেয়েও বাস্তবে দেখতে বেশি ভালো লাগছিল। সবমিলিয়ে আমার কাছে এটি ছিল দারুণ এক শিক্ষণীয় ও আনন্দদায়ক সফর।