মহামারি করোনাভাইরাসের জন্য এবারের আয়োজনটি করা হয় অনলাইনের মাধ্যমে। বাংলাদেশ প্রজন্ম সংসদের ৩০০ সদস্যকে নির্বাচন করা হয় এই সম্মেলনের জন্য। তারমধ্যে আমি একজন। সংসদের প্রতি আসনের জন্য নির্ধারিত ফেসবুক গ্রুপের সাপ্তাহিক টাস্কের মাধ্যমে এই নির্বাচন প্রক্রিয়াটি অনুষ্ঠিত হয়।
অধিবেশনের কয়েকদিন আগেই আমাকে এ বিষয়ে জানানো হয়। কুমিল্লা-৬ আসনের নির্বাচিত প্রজন্ম সংসদ সদস্য হিসেবে অধিবেশনে যোগ দেই। আমি গ্রুপ-১৪ এর অন্তর্ভূক্ত ছিলাম। আমাদের আলোচনার বিষয় ঠিক করা হয় 'গৃহস্থালি ও শিল্পবর্জ্য, জলবায়ু পরিবর্তনে প্রভাব'। মূলত আমাদের আলোচনার ভিত্তি ছিল বিষয়টির উদ্ভব হচ্ছে কোথা থেকে, বিষয়টি শিশুদের ওপর কীভাবে প্রভাব ফেলছে এবং বিষয়টির সমাধান কীভাবে করা যেতে পারে। গ্রুপের প্রায় সব সদস্যই এ বিষয়ে নিজেদের মতামত প্রকাশ করে এবং বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে।
আমাদের এই অধিবেশনে এক পর্যায়ে যুক্ত হন জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন। এ ছাড়াও আমাদের অধিবেশনের সঙ্গী হন সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকু, অ্যারোমা দত্ত, ওয়াসিকা আয়েশা খান, সৈয়দা রুবিনা আক্তার মীরা।
অধিবেশনের সমাপ্তি পর্বের সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিল হ্যালোর শিশু সাংবাদিক শাওলি সামরিজা। এই পর্বের শুরুতেই আমরা হ্যালোর শিশু সাংবাদিকদের এবং ইউনিসেফের তৈরি মোট চারটি প্রতিবেদন দেখতে পাই। একে একে বক্তব্য রাখেন অতিথিরা।
এই অধিবেশনের মাধ্যমে আমি দারুণ কিছু অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পেরেছি। সংসদ সদস্যদের বিভিন্ন নির্দেশনার মাধ্যমে নতুন অনেক বিষয়ে জানতে পেরেছি। গ্রুপের অন্য সদস্যদের সাথে কাজ করার মাধ্যমে দলগত কাজ করার একটা অভিজ্ঞতা পেয়েছি যেটার সুযোগ সচরাচর পাওয়া হয় না। শিশু সাংবাদিকদের করা প্রতিবেদনগুলোর মাধ্যমে শিশুদের অনেক সমস্যা, অসুবিধার চিত্র দেখে তাদের সমস্যা উপলব্ধি করতে পেরেছি। সর্বোপরি একত্রে এত শিশু, অতিথিদের সঙ্গে অধিবেশনে যোগদানের সুযোগ জীবনে এবারই প্রথম পেলাম। আমি সবসময় চেষ্টা করব এ ধরনের কর্মকাণ্ডে নিজেকে আরো বেশি সম্পৃক্ত করে দেশ, সমাজ ও রাষ্ট্রের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে।