শিশু-কিশোররা কম্পিউটার, স্মার্টফোন, ট্যাবসহ নানা ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে এখন ব্যস্ত থাকে। আগে শিশুরা অবসর সময় পার করত গাছের পরিচর্যা, মাঠে খেলাধুলা, হৈ-হুল্লোড় করে। কিন্তু এখনকার শিশুদের আমার শৈশব বঞ্চিত মনে হয়।
নবজাতক কিছু বড় হলেই তার হাতে ইলেকট্রনিক ডিভাইস দিয়ে দেন বাবা-মা। এক প্রতিবেদনে দেখলাম, এতে করে শিশুরা কথা বলাও এখন শিখছে দেরিতে। আগে বাবা, মা, দাদা, দাদী, ফুপুরা নবজাতককে সময় দিত, কথা বলত, খেলাধুলা করত। এতে তারা দ্রুত কথা বলা শিখে যেত, খেলতে শিখত।
নবজাতক বড় হওয়ার পরও মাঠের খেলা বা শারীরিক কসরত আছে এমন খেলাগুলোতে আগ্রহী হয় না। ঘরে বসে স্ক্রিনে থাকে চোখ আর দুই আঙুলে চলে পুরো বিশ্বভ্রমণ। যেখানে নেই শারীরিক কসরত।
শারীরিক, মানসিক বিকাশের জন্য খেলাধুলার বিকল্প নেই।
সামাজিক, নৈতিক এবং বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের ক্ষেত্রেও গ্রামীণ খেলাধুলাগুলো গুরুত্বপূর্ণ। এসব খেলাধুলার মাধ্যমে শিশু-কিশোররা যোগ্য নাগরিকের গুণাবলী, দলীয় শৃঙ্খলা, নেতৃত্ব প্রদান, বিজয় লাভের উপায় এবং পরাজয়ে ভেঙ্গে না পড়া সম্পর্কে শিখতে পারে। আত্মবিশ্বাসী আর শক্তিশালী ব্যক্তিত্ব নিয়ে বড় উঠতে পারে।
আলতাব হোসেন নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ করছিলাম এ বিষয়টা নিয়ে। আসলে কেমন ছিল আগেকার শৈশব-কৈশোর।
তিনি আমাকে বলছিলেন, "আগে মাঠের কোনো অভাব ছিল না। কিন্তু বর্তমানে শিশু-কিশোরদের পড়াশোনার চাপ বেড়েছে। এছাড়াও আগের মত খেলাধুলার মাঠ নেই। তাই শিশু-কিশোররা অবসর বিনোদন হিসেবে মোবাইল বা কম্পিউটারে গেমস খেলছে।"
গ্রামীণ খেলাগুলো অবহেলা অসচেতনতার কারণে আজ হারিয়ে যাওয়ার পথে। আমাদের সকলের উচিত এগুলো রক্ষার্থে এগিয়ে আসা। নয়ত অমূল্য এই ঐতিহ্য হারিয়ে যাবে।