কোভিড-১৯ এর আঘাতে গোটা বিশ্বে নেমে আসে বিপর্যয়৷ অবরুদ্ধ পরিস্থিতি আর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা নিয়ে কেটেছে প্রতিটা মুহুর্ত। অমানবিকতার নিষ্ঠুর সব উদাহরণ দেখিয়েছে ২০২০। অদৃশ্য এক ভাইরাস তৈরি করে দেয় মানুষে মানুষে দূরত্ব। অনেকে আপনজনকেও ঠেলে দেয় দূরে।
শুধু তাই এ বছরটি কেড়ে নিয়েছে অনেক গুণীজনকে।
অভিনেতা, সাংবাদিক, চিকিৎসক, শিক্ষক, রাজনীতিবিদসহ অনেককে হারিয়েছি আমরা।
আমার ব্যক্তি জীবনকেও আঘাত করেছে এ বছরটি। বছরের শুরুর দিকে বাবা মিনি ব্রেইন স্ট্রোক করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এর কিছুদিন পর করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বন্ধ হয়ে যায় স্কুল। চাকরিসহ অন্যান্য কারণে পরিবারের অন্যরা ঘরের বাইরে যেতে পারলেও পড়াশোনা ছাড়া তেমন আর কোনো কাজ না থাকায় আমাকে ঘরে বসেই অবরুদ্ধ সময় পার করতে হয়। মানসিক চাপ তখন নিত্যসঙ্গী হয়ে পড়ে।
এরপর বার্ধক্যজনিত মৃত্যু হয় আমার দাদার। গভীর রাতে গ্রামে পৌঁছে সকাল হতে না হতেই গ্রামের একজন চাচারও মৃত্যুর খবর আসে। একই দিনে যোগ দিতে হয় দুটি মানুষের শেষকৃত্যে।
এছাড়া স্কুল বন্ধের পুরো সময়টা কতটা অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হয়েছে এবং হচ্ছে তা আমার মতো এসএসসি পরীক্ষার্থী আর তাদের পরিবারের সদস্যরা ছাড়া কারো পক্ষেই বোঝা সম্ভব নয়। বছরের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শুধু একের পর এক ধাক্কার সম্মুখীন হতে হয়েছে।
সবার মতো আমারও চাওয়া একটুখানি আলোর মুখ দেখা। গোটা বিশ্বই চায় ২০২০ এর অন্ধকার যেন এবারও গ্রাস না করে। এ বছরটা যেন সবার জন্য কল্যাণকর হয় সেই আশাই বুকে বেঁধে এগিয়ে যাচ্ছি সচেতনতার সাথে।