তারিখটি আমার জন্য খুব বিশেষ হয়ে থাকে। পরিবার, স্বজন আর বন্ধুদের নিয়ে উদযাপন করি। এবার মহামারি মনটাই খারাপ করে দিয়েছিল। উদযাপন করতে পারব কি পারব না এ নিয়ে ছিল দুঃশ্চিন্তা।
শেষ পর্যন্ত আশংকা আর সত্যি হয়নি। ঘরোয়া আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিই। সবাই মিলে ঘরেই তো মজা করা সম্ভব, এটা বলেই মনকে বোঝাই।
দেশ ও দেশের বাইরে থাকা স্বজনদের সাথে অনলাইনে কথা হয়েছে। তারা ভিডিও কলেই শুভেচ্ছা জানিয়েছনে, শুভ কামনা জানিয়েছেন। উদযাপনটা সীমিত রেখেও মনে হয়নি মহামারি সব বন্ধ করে দিয়েছে। একটু অন্যরকম ছিল, তবে মন্দ নয়।
বাবা-মায়ের একমাত্র কন্যা আমি। আমার দুই ভাইও আমাকে বেশ ভালোবাসনে। তারাও আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছনে। তারা যে দিনটি মনে রাখনে, আমাকে গুরুত্ব দেন- এটা ভেবেই আমার বেশ আনন্দ হয়।
আমার বাবা-মায়ের প্রতি আমার অগাধ কৃতজ্ঞতা। অভাব অনটনের মধ্যেও তারা আমাকে আগলে রেখেছেন। তাদের এই ভালোবাসার কোনো বিনিময় হবে না জানি। তবুও আমার কর্মের মাধ্যমে তাদের কিছুটা বিনিময় দিতে চাই। আমার জন্য যেন তাদের ছোট হতে না হয়। আমাকে নিয়ে যেন গর্ব করতে পারেন। এতেই আমার জন্ম সার্থক হবে।