এ যেন লেজেগোবরে অবস্থা

করোনাভাইরাস মহামারির জন্য পাঁচ মাস ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ থাকায় উদ্বেগ উৎকণ্ঠা যেন কাটছেই না।
এ যেন লেজেগোবরে অবস্থা

ভাইরাসের সংক্রমণ এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ থাকলেও অনলাইনে সেই ঘাটতি কাটিয়ে তুলছে শহরাঞ্চলের স্কুল-কলেজগুলো। সরকার টেলিভিশনে রেকর্ড করা ক্লাস সম্প্রচার করছে। এসবই সম্ভব হচ্ছে স্বচ্ছল পরিবারের শিশুদের জন্য। 

প্রথমত, স্কুলে গিয়ে শিক্ষকের উপস্থিতিতে পাঠদানের কোনো বিকল্প নেই। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো অনলাইনে ক্লাস নিলেও, সে সকল ক্লাসে শিক্ষার্থীদের সাথে শিক্ষকদের সরাসরি যোগাযোগের খুব একটা ব্যবস্থা থাকে না। মনযোগ ধরে রাখাটা বেশ কষ্টের। শিশুমন তো এমনই হয়।

শিক্ষক-শিক্ষার্থীর একটা দূরত্ব যে তৈরি হচ্ছে তা বলার অবকাশ রাখে না। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক পড়ানোর সময় শিক্ষার্থীরা নানা প্রশ্ন করে থাকে, অনেক সময় না করলেও শিক্ষক বুঝতে পারে কার কার বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে। যেটা এক্ষেত্রে হচ্ছে না বলেই মনে হয়। অনলাইন ক্লাসে উপস্থিতিটাও একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যা শতভাগ সম্ভব হচ্ছে না।

অভিভাবকের অভিযোগটাও গুরুতর। তাদের অনেকেই বলছেন, নাম মাত্র ক্লাস করিয়ে প্রতি মাসের টিউশন ফি আদায় করছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। ফি কমানোরও দাবি আছে তাদের। আবার এদিকটাও ভাবতে হয়, ফি আদায় না করলে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা হবে কী করে।

এমন এক পরিস্থিতি বিরাজ করছে যা আমাদের সবার জন্যই নতুন। সব যেন তার শ্রী হারিয়েছে। মেনে নিতে হচ্ছে অনেক নতুন কিছু। পথ আটকে দাঁড়িয়েছে এই মহামারি।

তুমি কি জান, সপ্তাহে সাত দিন ২৪ ঘণ্টা হ্যালো শুধুই শিশুদের কথা বলে? বয়স যদি ১৮’র কম হয়, তাহলে তুমিও হতে পার শিশু সাংবাদিক! তাহলে আর কী, নিজের তৈরি প্রতিবেদন, ভিডিও প্রতিবেদন, ভ্রমণকাহিনী, জীবনের স্মরণীয় ঘটনা, আঁকা ও তোলা ছবি, বুক বা সিনেমা রিভিউ পাঠাতে পার আমাদের কাছে। লিখতে পার প্রিয় সাহিত্যিক ও ব্যক্তিত্বকে নিয়েও। এমনকি নিজের কথা লিখতেও নেই কোনো মানা।

লেখা ও ভিডিও পাঠানোর ঠিকানা [email protected]। সঙ্গে নিজের নাম, ফোন নম্বর, জেলার নাম ও ছবি দিতে ভুলবে না কিন্তু। তবে তার আগে রেজিস্ট্রেশন করতে ক্লিক করো reg.hello.bdnews24.com  

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com