আমার অনুপ্রেরণার বাতিঘর 'হ্যালো'

এসএসসির পরের অবসর সময়টা আমার ঘরবন্দি কাটে। সে সময় আমার সঙ্গী হয় লেখালেখি।
আমার অনুপ্রেরণার বাতিঘর 'হ্যালো'

লেখালেখির সাথে আমার পরিচয় ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে। গৃহ শিক্ষক শাকিল ভাইয়া রোজ দুই পাতা হাতের লেখা দিতেন। হাতের লেখার ছলে যা মন চাইত তাই লিখতাম। লেখাগুলো কখনো নিবন্ধ, কবিতা বা গল্প হয়ে ধরা দিত।

একটা সময় তা প্রকাশ করার স্বাদ জাগে কিন্তু সাহস পাই না, আমার লিখা কি আদৌ প্রকাশ যোগ্য?

ইন্টারনেটের কল্যাণে শিশু সাংবাদিক শব্দটির সাথে পরিচয় ঘটে কিন্তু কেমনে হব তা জানা ছিল না।

একদিন বাসার নিচ তলার কামরুল নামের এক ভাইয়ের সাথে লেখালিখির ইচ্ছার ব্যাপারে কথা বলছিলাম। তখন ভাইয়া জানাল তার পরিচিত একজন হ্যালোতে লিখেন। তার সাথে আমায় পরিচয় করিয়ে দেবেন। ভাইয়া তৎক্ষণাৎ রুমান হাফিজ নামের আরেক ভাইকে ফোন দেন। উনি ক্যাম্পাসে ছিলেন। আধা ঘণ্টার মধ্য আমাদের আড্ডায় এসে যোগ দিলেন। সেদিনই প্রথম পরিচয় রুমান ভাইয়ার সাথে। উনি একসময় হ্যালোর শিশু সাংবাদিক ছিলেন। উনাকে আমি আমার ইচ্ছার কথা জানালাম।

রুমান ভাইয়া হ্যালোতে সিভি পাঠাতে বললেন। সাথে বললেন হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সাইটটা ভিজিট করতে যাতে সেখানে কেমন লেখা প্রকাশ হয় তা জানতে পারি।

কথা মত মেইল পাঠিয়ে সাইটটি ভিজিট করি, দেখি আমার মত সমবয়সীরা কত সুন্দর ভাবে লিখছে।

সপ্তাহ খানেক পরে এক আপু কল দিয়ে লেখা পাঠাতে বললেন সাথে বললেন আমার আশেপাশে ঘটে যাওয়া বিষয় নিয়ে নিয়মিত লিখতে। তার কয়েকদিন পর আমার এসএসসির ফলাফল প্রকাশ হয়, সে বিষয় নিয়ে চটজলদি লিখে ফেলি। লেখা আমার অপরিপক্ব, হাত কাঁচা ভয়ে ছিলাম আদৌ লিখা প্রকাশ হবে তো।

৩দিন পর আপু কল দিয়ে আমার ছবি চাইল, দিলাম বিকাল পাঁচটায় লেখাটা সাইটে দেখতে পেলাম। লেখা পড়লাম, দেখলাম আমার লেখাটাকে অনেক সুন্দরভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে।

এরপর থেকে নিয়মিত লেখার চেষ্টা করেছি। লেখা পাঠিয়ে অপেক্ষা করতাম কখন প্রকাশ হবে। পাঠানো লেখা আর প্রকাশিত লেখা মিলিয়ে নিজের ভুল খোঁজার চেষ্টা করতাম।  মাঝে মাঝে অফিস থেকে ফোন করে বলে দিতেন। এখনো শিখছি, এখনো ভাইয়া আপুরা শিখিয়েন দেন কীভাব কী করতে হবে।

দেখতে দেখতে হ্যালোতে আমার যুক্ত হবার দুই বছর হয়ে গেল।

হ্যালোর থেকে অনেক কিছুই শিখেছি, এখনো শিখছি অনেক কিছু, আরো শিখতে চাই।

হ্যালো শুধু আমার কাছে একটি সংবাদ প্রকাশের প্লাটফর্ম নয় অনুপ্রেরণার বাতিঘর। সবচেয়ে বড় কথা হ্যালো ভাবতে শিখিয়েছে আমাদের কথাও মূল্যবান। ধন্যবাদ হ্যালো।

তুমি কি জান, সপ্তাহে সাত দিন ২৪ ঘণ্টা হ্যালো শুধুই শিশুদের কথা বলে? বয়স যদি ১৮’র কম হয়, তাহলে তুমিও হতে পার শিশু সাংবাদিক! তাহলে আর কী, নিজের তৈরি প্রতিবেদন, ভিডিও প্রতিবেদন, ভ্রমণকাহিনী, জীবনের স্মরণীয় ঘটনা, আঁকা ও তোলা ছবি, বুক বা সিনেমা রিভিউ পাঠাতে পার আমাদের কাছে। লিখতে পার প্রিয় সাহিত্যিক ও ব্যক্তিত্বকে নিয়েও। এমনকি নিজের কথা লিখতেও নেই কোনো মানা।

লেখা ও ভিডিও পাঠানোর ঠিকানা [email protected]। সঙ্গে নিজের নাম, ফোন নম্বর, জেলার নাম ও ছবি দিতে ভুলবে না কিন্তু। তবে তার আগে রেজিস্ট্রেশন করতে ক্লিক করো reg.hello.bdnews24.com

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com