কলেজের গেটে প্রবেশের সময় সিকিউরিটি মামার মুচকি হাসি আর বিল্ডিং কো-অরডিনেটর এর নিখুঁত চোখে ইউনিফর্ম চেক পেরিয়ে ক্লাসে গিয়ে বসতাম। তারপর ১ ঘণ্টার একটা এক্সট্রা ক্লাস শেষ করে ২০ মিনিটের একটা ব্রেক আর সেই ব্রেকে সবাই মিলে বসে ব্রেকফাস্ট। এর সব কিছুই মনে পড়ে।
তারপর ক্লাস শুরু হলেই প্রথম ক্লাসে তরিকুল স্যার এর ক্লাস। ক্লাসের মাঝে স্যার এর গলায় বাউল সুকুমারের সেই বিখ্যাত গান ’বলব না গো আর কোনদিন'! এই মুহুর্তটা সবচেয়ে বেশি মনে পড়ে। আছাড়াও আছে তৃণা ম্যামের ক্লাসে ব্যাকবেঞ্চারদের হৈ-হুল্লোর, আবরার স্যারের ক্লাসে স্যারের ফ্লেভার নামক লাঠির ভয়ে চুপ-চাপ বসে থাকা আর তাহমিনা ম্যামের ক্লাসের কড়া নজরদারি। খুব ইচ্ছে করে তাদের ক্লাসে আবারো ফিরে যেতে।
টিফিন পিরিয়ড শুরু হলেই টিফিন শেষ করে কলেজ বিল্ডিং এর আন্ডার গ্রাইন্ড-এ গিয়ে গানের আসর। কখনো আর্টসেলের অনিকেত প্রান্তর আবার কখনো বা ওয়ারফেজের পূর্ণতা। আবার মাঝে মাঝে গোল হয়ে বসে স্কিল ডেভেলপমেন্ট আর ক্যারিয়ার নিয়ে আলোচনা। এই সময় জুড়ে শাওন আর যায়েদকে মনে পড়ে!
টিফিন শেষ হলেই শুরু হয় আইসিটি ক্লাস। আইসিটি ক্লাস মানেই রায়হান স্যার। আর রায়হান স্যার মানে প্রোগ্রামিং যা একেক জন ছাত্রের জন্য ফিজিক্সের ফর্মুলার চাইতেও কঠিন কিছু। প্রোগ্রামিং পর্ব শেষ হলে নূরে আলম স্যারের বায়োলজি ক্লাস আর পেছনের বেঞ্চগুলো থেকে নানা রকম প্রাণির আওয়াজে রেগে গিয়ে তো উনি মাঝে মাঝে ক্লাস করানো বন্ধই করে দেন। শেষ ক্লাসটা মহিউদ্দিন স্যারের কেমিস্ট্রি। আপাতত ওসব কারো বোধ গম্য নয়। তবুও মাথা ঝাঁকিয়ে বুঝেছি বলাটা যেন সকলের একটা কর্তব্য। তারপর হুট করেই বেল বাজে আর ছুটোছুটি করে কে কার আগে বের হতে পারে তার প্রতিযোগিতা। এর সবই খুব বেশি মনে পড়ে।
কলেজ শেষে লাইব্রেরিতে বসে লাইব্রেরিয়ান আর সিসিটিভি ক্যামেরা ফাঁকি দিয়ে গল্প করা আর ছোট খাটো দুষ্টুমি। মাঝে মাঝে বুক পয়েন্টয়ে গিয়ে আরিফ মামার সাথে আড্ডা কিংবা পথের ধারের ফুচকা মামার সাথে বসে আড্ডা। তারপর আবার রিকশা নিয়ে বাড়ি ফেরা। পথে মধ্যে রিকশা ওয়ালা মামার সাথে গল্প। আবার যে কবে এই দিন গুলো ফিরে পাব...
খুব ইচ্ছে করে। শুধু মনে হয় আবার যে কবে কলেজে যাব। সবাই মিলে গান গাইব, আড্ডা দেব!
তুমি কি জান, সপ্তাহে সাত দিন ২৪ ঘণ্টা হ্যালো শুধুই শিশুদের কথা বলে? বয়স যদি ১৮’র কম হয়, তাহলে তুমিও হতে পার শিশু সাংবাদিক! তাহলে আর কী, নিজের তৈরি প্রতিবেদন, ভিডিও প্রতিবেদন, ভ্রমণকাহিনী, জীবনের স্মরণীয় ঘটনা, আঁকা ও তোলা ছবি, বুক বা সিনেমা রিভিউ পাঠাতে পার আমাদের কাছে। লিখতে পার প্রিয় সাহিত্যিক ও ব্যক্তিত্বকে নিয়েও। এমনকি নিজের কথা লিখতেও নেই কোনো মানা। লেখা ও ভিডিও পাঠানোর ঠিকানা [email protected]। সঙ্গে নিজের নাম, ফোন নম্বর, জেলার নাম ও ছবি দিতে ভুলবে না কিন্তু। তবে তার আগে রেজিস্ট্রেশন করতে ক্লিক করো reg.hello.bdnews24.com |