কলেজে ভর্তির হওয়ার পর তো ঠিকমতো বাড়িতে খেতেও পারতাম না। কিন্তু এখন মা, বাবার সাথে একসাথে বসে আড্ডা, গল্প, খাওয়া সবই হচ্ছে।
লকডাউন শব্দের সাথে পরিচয় হয়ছে কিছুদিন হলো। এই কিছুদিনেই কতটা বিরক্তিকর এই জিনিস তা অনুভব করতে পারছি। তবে পরিবারের সাথে থাকতে পারে সেই বিরক্তিকে আর বিরক্তি মনে হচ্ছে না।
তবে বন্ধুদের অনেক মিস করছি। তাদের সাথে কলেজে, কোচিংয়ে কাটানো সময়ে আবার ফিরে যেতে ইচ্ছে হয়। কিন্তু পৃথিবী যে এখন অসুস্থ। পৃথিবীর অসুখ না কমলে যে বন্ধুদের সাথে দেখা করতে পারব না।
তবে বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ রক্ষার জন্য ভিডিও কলে কথা বলছি প্রতিনিয়ত।
তার পাশাপাশি আমি মানুষকে বিনোদন দেওয়ার জন্য শুরু করেছি ফেসবুক লাইভ। যেখানে বড় ভাই ও বন্ধুদের নিয়ে একটু আড্ডা হয়। গান বাজনাও হচ্ছে মাঝে মাঝে।
বই পড়ার নেশা আমার সবসময়ই। লকডাউনের সময় বইয়ের হার্ডকপি না থাকলেও পিডিএফ ডাউনলোড করে পড়ছি অনেক বই।
মা, বোনের সাথে লুডু খেলা হচ্ছে প্রতি বিকেলে। থ্রি ডি আর্ট করতে আমার অনেক ভালো লাগে। ইউটিউব দেখে দেখে আঁকছি অনেক কিছু।
নিজের একটা ইউটিউব চ্যানেলও খুলেছিলাম গত বছর। কিন্তু ভিডিও আপলোড করা হয়নি বেশি। এই সময়ে ইউটিউবে অনেক ভিডিও আপলোড করেছি।
এই দীর্ঘ অবসরকে বিরক্তিকর মনে না করে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছি, ভালো কিছু করার চেষ্টা করছি।
তুমি কি জান, সপ্তাহে সাত দিন ২৪ ঘণ্টা হ্যালো শুধুই শিশুদের কথা বলে? বয়স যদি ১৮’র কম হয়, তাহলে তুমিও হতে পার শিশু সাংবাদিক! তাহলে আর কী, নিজের তৈরি প্রতিবেদন, ভিডিও প্রতিবেদন, ভ্রমণকাহিনী, জীবনের স্মরণীয় ঘটনা, আঁকা ও তোলা ছবি, বুক বা সিনেমা রিভিউ পাঠাতে পার আমাদের কাছে। লিখতে পার প্রিয় সাহিত্যিক ও ব্যক্তিত্বকে নিয়েও। এমনকি নিজের কথা লিখতেও নেই কোনো মানা। লেখা ও ভিডিও পাঠানোর ঠিকানা [email protected]। সঙ্গে নিজের নাম, ফোন নম্বর, জেলার নাম ও ছবি দিতে ভুলবে না কিন্তু। তবে তার আগে রেজিস্ট্রেশন করতে ক্লিক করো reg.hello.bdnews24.com |