বন্ধুদের সাথে শেষ ঘোরাঘুরি (ভিডিওসহ)

এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার মাসখানেক সময় বাকি ছিল। কিছুদিন পর পরীক্ষা, তাই পড়াশোনার ব্যস্ততা ছিল দ্বিগুণ। কোচিং থেকে শুক্রবার অতিরিক্ত ক্লাস দেওয়া হলো। প্রতিদিনের মতো বাড়ি থেকে বের হয়ে বাসস্ট্যান্ডে রওনা হলাম।
বন্ধুদের সাথে শেষ ঘোরাঘুরি (ভিডিওসহ)

বাসে পেয়ে গেলাম বন্ধু নোভাকে। সে বেশ কিছুদিন আগে ভর্তি হয়েছে আমাদের ওই কোচিং ক্লাসে। অল্প সময়ের পরিচয়ে ভালো একটা বন্ধুত্ব তৈরি হয়েছিল।

ক্লাস শেষ হলে একসাথে বের হই আমরা। সাথে যোগ হয় আমার আরেক বন্ধু হাবিব। কখনো সেভাবে ঘোরাঘুরির সুযোগ হয় না। ক্লাস শেষ করে বাড়ি ফিরতে ফিরতেই সন্ধ্যা হয়ে যায়।

সেদিন দুপুরে ছিল শেষ ক্লাস। ওদের বললাম চল আজ মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরতে যাই। হাবিব যেতে চাচ্ছে না, নোভারও তেমন একটা আগ্রহ নেই। ওদের ভালো করে আবার বোঝালাম। শেষমেশ দুজনেই রাজি হলো। তিন বন্ধু চলে গেলাম বিশ্ববিদ্যালয়টিতে।

তখন মনের ভেতর অনুভব করছিলাম হয়ত একদিন এভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ে যাব। সামনে এগিয়ে যাচ্ছি তিনজন। হাতের পাশে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিতে তৈরি ভাস্কর্য  'প্রত্যয় একাত্তর'। আমাদের তিনজনেরই প্রথম আসা এখানে। সামনে এগিয়ে দেখলাম, বিশাল দিঘী। পাশে সিমেন্টের বেঞ্চ আছে। অনেকেই সেখানে বসে গল্প করছে।

সময় কম তাই আমাদের আর বসা হলো না। বেশকিছু নতুন ভবন হচ্ছে। পাশ দিয়ে হেঁটে গেলাম আমরা। নোভা বলল, চল মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর মাজার দেখে চলে যাই। হাতে আর সময় নেই।

মসজিদের পাশে সমাহিত করা হয়েছে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে। ১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর মহান এই মানুষটি চিরতরে পাড়ি দেন পরপারে।

বিশাল কাঠের দরজা দিয়ে সামনে এগিয়ে যেতেই নিস্তব্ধতার আবেশ। আগর বাতির গন্ধ ভেসে এল নাকে। পাশে বাঁশের বেড়া ও ছন দিয়ে তৈরি একচালা ঘর। এটিই নাকি ভাসানীর আসল ঘর ছিল। পাশের ঘরে দেখা গেল তার ব্যবহৃত টুপি, তসবি আর পাঞ্জাবি।

মাজারের পাশে বিশাল ঐতিহাসিক দরবার হল। ভাসানী এখানে রাজনৈতিক আলোচনায় বসতেন। মানুষের কথা শুনতেন।

দুপুর গড়িয়ে বিকেল। এবার ফেরার পালা। বাড়ি যেতে ঘণ্টা খানেক সময় লেগে যাবে। তাই আমরা বেশি দেরি না করে অটোরিকশায় করে বাসস্ট্যান্ডে চলে এলাম। এরপর বাসে করে বাড়ি ফেরা। পৃথিবী ভালো হলে আবার ঘুরতে যাব অনেক দূর।

তুমি কি জান, সপ্তাহে সাত দিন ২৪ ঘণ্টা হ্যালো শুধুই শিশুদের কথা বলে? বয়স যদি ১৮’র কম হয়, তাহলে তুমিও হতে পার শিশু সাংবাদিক! তাহলে আর কী, নিজের তৈরি প্রতিবেদন, ভিডিও প্রতিবেদন, ভ্রমণকাহিনী, জীবনের স্মরণীয় ঘটনা, আঁকা ও তোলা ছবি, বুক বা সিনেমা রিভিউ পাঠাতে পার আমাদের কাছে। লিখতে পার প্রিয় সাহিত্যিক ও ব্যক্তিত্বকে নিয়েও। এমনকি নিজের কথা লিখতেও নেই কোনো মানা।

লেখা ও ভিডিও পাঠানোর ঠিকানা [email protected]। সঙ্গে নিজের নাম, ফোন নম্বর, জেলার নাম ও ছবি দিতে ভুলবে না কিন্তু। তবে তার আগে রেজিস্ট্রেশন করতে ক্লিক করো reg.hello.bdnews24.com

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com