নারী-পুরুষ একে অপরের পরিপূরক, কিন্তু কারো অধিকার কিংবা ক্ষমতা কম নয়। অথচ পরিবারে ছোটবেলা থেকেই আমরা ভেদাভেদ শুরু করে দেই।
একটি শিশু জন্ম নেওয়ার পর থেকেই এই ভেদাভেদ শুরু হয়ে যায়। মেয়ে হলেই গোলাপি না লাল জামা কিনতে হবে। ছেলের জন্য কোনোভাবেই গোলাপি জামা কেনা যাবে না। একটু বড় হলে শুরু হয় খেলনা নিয়ে ভেদাভেদ। ছেলেদের পুতুল খেলা যাবে না আর মেয়েদের ক্রিকেট খেলা যাবে না। মেয়েদের এত ছোটাছুটি করা যাবে না। আর ছেলে হলে শুনতে হবে ছেলেরা এত বসে থাকে নাকি!
আমাদের সমাজে ছেলে-মেয়ের জন্য অনুভূতিও আলাদা করে রাখা। মেয়েদের রাগ করা যাবে না, উঁচু গলায় কথা বলা যাবে না। বলা হয় মাটির মতো হতে হবে মেয়েকে।
ছেলেরা মন খারাপ কিংবা অভিমান করতে পারবে না। ছেলেদের নাকি কাঁদতে নেই। কান্না করলে তাদের বলা হয় তুমি কি মেয়ে নাকি? মেয়েদের মতো কান্না কর কেন?
কোনো ছেলে গোছানো স্বভাবের হলে ,সাজ-পোশাকের প্রতি আকর্ষণ থাকলে বলা হয়, তুমি কি মেয়ে নাকি? আর কোনো মেয়ে অগোছালো হলে বলা হয় তুমি ছেলেদের মতো চল কেন? গোছানো সবারই থাকা উচিত। ছেলে কিংবা মেয়ে সবারই।
উপহার নিয়েও থাকে ভেদাভেদ। শুধু তাই নয়, টেলিভিশন অনুষ্ঠানও আলাদা করে দিয়েছে। টেলিভিশন সিরিয়াল শুধু মেয়েরাই দেখে না অনেক ছেলেও দেখে। এটা তারা মেনে নিতে পারে না।
বাবা-মা ছেলেকে বাজার করা শেখানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে, আর মেয়েকে শেখায় সংসারের কাজ। কিন্তু এটা সবারই শেখা দরকার। সবারই উচিত মানুষ হিসেবে জীবন যাপনের জন্য প্রয়োজনীয় সব কিছুই শেখা।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৭। জেলা: ঢাকা।