আমার শৈশব কেটেছে শহরে। আত্মীয়-স্বজনের কোলাহলে মুখর ছিল আসাদের বাসা। আমি পরিবারে সবার আদরের ছেলে।
বয়স হওয়ার পর ভর্তি করা হয় প্রাথমিক স্কুলে। মা-বাবা দুজনই আমাকে বর্ণমালা শেখাতেন। বাসার পাশেই ছিল আমাদের বিদ্যালয়। বাসা থেকে বেশি দূর না হওয়ায় হেঁটেই চলে যেতাম। এর পাশেই রেললাইন। ট্রেনগুলো একটু পর পর বাঁশি বাজিয়ে চলে যেত।
বিকেলে স্কুলের মাঠে সমবয়সী বন্ধু, বড় ভাইরা খেলত। আমি মাঠের এক পাশে বসে উপভোগ করতাম। দিনগুলো কী চমৎকার ছিল!
জীবন এগিয়ে চলছে, আমি বড় হচ্ছি। কিন্তু শৈশবের স্মৃতিগুলো মনে হলে থমকে দাঁড়াই। বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসের গল্পগুলো তখনই রচনা হয়েছে। বয়সটাই যে এটা।
শৈশবের সেই সুখকর স্মৃতি, মধুর দিনগুলি মনের পাতায় বরাবার উঁকি দেয়। যতই বড় হচ্ছি, কঠিন বাস্তবের মুখোমুখি হচ্ছি। কে আমায় ফিরিয়ে দেবে মধুর দিন গুলি!