কিন্তু শুধু পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা আমাদের জীবনে কতটুকু কাজে আসে এবং তা আমরা কতটুকু প্রয়োগ করতে পারি তা একটা বড় প্রশ্ন। শুধুমাত্র পরীক্ষার ফলই একজন শিক্ষার্থীর মেধা যাচাইয়ের একমাত্র মাপকাঠি নয়।
পড়াশোনা করি আমাদের জ্ঞান, বিবেক, বুদ্ধি আহরণের জন্য। পরীক্ষা হচ্ছে পড়াশোনার মাধ্যমে আমাদের কতটুকু জ্ঞানার্জন হলো তা পরিমাপ করার মাপকাঠি। এই ফলাফল দিয়ে আমরা কারও মেধার সঠিক পরিমাপ করতে পারি না।
তবে বাস্তবতা ভিন্ন। পরীক্ষার ফল দিয়েই অামরা মেধাবী নির্ণয় করি। কে কোন বিষয়ে পড়তে পারবে তা নির্ধারণ করি। অাবার এই ফলাফল দিয়েই কর্মক্ষেত্রে সফলতা নির্ধারিত হয়।
দেশে একটা ভুল ধারণা আছে- পরীক্ষায় কেউ ভালো ফলাফল করলেই সে মেধাবী বা ছাত্র হিসেবে ভালো।ব্যাপারটা আসলে তা নয়। ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ে কাজ করার জন্য ভিন্ন ভিন্ন মেধা ও দক্ষতার প্রয়োজন হয়। এটি শুধু পরীক্ষার ফলাফল দ্বারা পরিমাপ করা সম্ভব হয় না।
যেমন যে ভালো চিকিৎসক হতে চায় তার ব্যবসা বা বিপণনের জ্ঞান না থাকলেও চলে। অনেক সময় দেখা যায় পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করা ছাত্রটি কর্মক্ষেত্রে গিয়ে একটা সাধারণ সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। তার যোগ্যতার ঘাটতি থেকে যায়।
শ্রেণিকক্ষে পেছনের সারিতে বসা বা খারাপ ফলাফল করা শিক্ষার্থীও কর্মক্ষেত্রে ভালো করতে পারে। হতে পারে বিদ্যালয়ের গঁৎবাধা পড়াশোনা তাকে আকৃষ্ট করতে পারেনি কিন্তু সে নিজেকে যোগ্য করে তুলেছে।
একজন শিক্ষার্থী কী বিষয়ে পড়বে সেটা তার পরিবারই ঠিক করে দেয়। সে কোন বিষয় ভালো বোঝে বা কোন বিষয়ে পড়তে আগ্রহী সেটা তারা দেখতে চায় না। এতে শিশুটি তার স্বপ্নের পথে এগুতে পারে না। আমাদের এই দশার নিস্তার কি মিলবে না?