নতুন পোশাক, পরিবারের সকলের উপস্থিতি, বেড়াতে যাওয়া আরও কতকিছুই না হয়। কিন্তু এই সবই যেন এবার ভেস্তে যাচ্ছে। এমন ঈদের সাথে পরিচিত হতে যাচ্ছি, যা আমাদের সবার জন্যই নতুন অভিজ্ঞতা।
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রভাবে স্বাভাবিক জীবনযাপন এখন কার্যত ব্যাহত। বিপর্যয়ে পড়েছে সব শ্রেণির মানুষই। দিনমজুর থেকে রাষ্ট্রপ্রধান সবাইকেই নাকানিচুবানি দিচ্ছে এই ভাইরাস।
কোভিড-১৯ সব বয়সীদেরই আক্রান্ত করছে। শিশু, বৃদ্ধ, ধনী, গরিব কিছুই বিবেচনা করছে না৷ যাকে নাগালে পাচ্ছে তাকেই দিচ্ছে ছোবল।
বাংলাদেশে নতুন করোনাভাইরাসের জন্য যে অঘোষিত লকডাউন চলছিল তা কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। সবক্ষেত্রেই শর্ত বেঁধে দিয়েছে সরকার। দোকানপাট খোলা ও বন্ধের সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। মসজিদে নামাজের ক্ষেত্রে ১২টি শর্ত আরোপ করা হয়েছে। সবাইকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার তাগিদ দেওয়া হচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতেও শপিংমলগুলোতে যেন ভিড় বাড়ছেই। শারিরীক দূরত্ব বজায় রাখার কোনো বালাই নেই৷ গুটিকয়েক মানুষ সচেতন থাকলেও বেশিরভাগের মধ্যেই নেই এটি।
আমরা শিশুরা ঈদে নতুন পোশাক, আপনজনের সাথে মজা করা, ঘুরতে যাওয়া থেকে এবার বঞ্চিত হতে যাচ্ছি। কিন্তু আফসোস নেই, ঈদের আনন্দ হাসিমুখে বিসর্জন দিলাম। আমি ঘরে থাকলে বেঁচে যাবে অনেকেই। আমি চাই না অন্যকে ক্ষতি করার কারণ হতে। তাই ঘরেই আছি।