করোনাভাইরাস মোকাবেলায় দরকার সচেতনতা

বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে খারাপের দিকেই যাচ্ছে পরিস্থিতি।
করোনাভাইরাস মোকাবেলায় দরকার সচেতনতা

১৮ মার্চ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ২৬ মার্চ থেকে অঘোষিত লকডাউনে রয়েছে দেশ। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে মাঠে রয়েছে সশস্ত্র বাহিনী।

দিন দিন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। এরমধ্যে ছুটিও বর্ধিত করা হয়েছে দু'বার। এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা পড়েছে ভোগান্তিতে। প্রথম কয়েকদিন আনন্দে কাটলেও, যত দিন যাচ্ছে সময়গুলো বিরক্তিকর হয়ে উঠছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সবকিছু একঘেয়ে হয়ে আসছে। অনেকেই দিনের একটি বড় অংশ মোবাইল ফোন কিংবা টেলিভিশন দেখে পার করছে।

অনিশ্চয়তায় পড়েছে এইচএসসি পরীক্ষা। পরীক্ষার্থীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে নানা প্রশ্ন, উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা। মানসিকভাবেও দুর্বল হয়ে পড়েছে কেউ কেউ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির কী হবে, তার প্রস্তুতির কী হবে এসব দুশ্চিন্তা ভর করেছে পরীক্ষার্থীদের মাথায়।

চিকিৎসকরাও নানা সমস্যার সম্মুখীন। চিকিৎসা সামগ্রী সংকটের কথা উঠে আসছে সংবাদমাধ্যমে। ইতোমধ্যে চীন থেকেও কিছু চিকিৎসা সামগ্রী আনা হয়েছে।

এই 'মহামারীর' মধ্যে আরও কিছু খবর কষ্ট দেয়। খবরে দেখলাম সাধারণ জ্বর, শ্বাসকষ্ট, হাঁচি, কাশির চিকিৎসাও পাচ্ছে না অনেকে। করোনাভাইরাস আতংকে চিকিৎসকদের কেউ কেউ পিছিয়ে যাচ্ছেন। অনেক বেসরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রও বন্ধ করে রাখা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীও এ বিষয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এ দুর্যোগে যারা মাঠে থাকবে তাদের পুরষ্কৃত করার ঘোষণাও দিয়েছেন।

এতকিছুর মধ্যে ঠেকাতে হচ্ছে গুজবের প্রকোপ। নতুন নতুন গুজব ছড়িয়ে পড়ছে। কখনো শোনা যাচ্ছে থানকুনি পাতা খেলে করোনাভাইরাস সেরে যাবে, কখনো শোনা যাচ্ছে মসলা চা খেলে সেরে যাবে। রুপকথার মত নানা গল্পও ছড়িয়ে পড়ছে।

উপসনালয়গুলো কার্যত বন্ধ রাখার নির্দেশ এলেও তা মানা হচ্ছে না। ইসলামি চিন্তাবিদদের আহবানও তারা মানতে নারাজ। কোনোভাবেই পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করছেন না। বিশেষ করে বয়স্ক নাগরিকরা এটিকে পাত্তাই দিচ্ছেন না।

আতঙ্কিত হলে কোনো পরিস্থিতিই ভালোভাবে মোকাবেলা করা যায় না। বিপদের বিরুদ্ধে লড়তে দরকার হয় শক্তি। সেজন্য থাকতে হবে সচেতন। একমাত্র সচেতনতা আর পরচিচ্ছন্নতাই পারে আমাদের মুক্তি দিতে।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com