শীতের হিম ঠাণ্ডা ভাবটাও ধীরে ধীরে বিদায় নিচ্ছে। কখনো গরম কখনো লাগছে শীত শীত। বাতাসে ঝরে পড়ছে মরা পাতা। এই অনুভূতিই জানান দিচ্ছে বসন্ত এসে পড়েছে। বসন্ত মানেই নতুন ভাবে রাঙানোর দিন, শীতের জরাগ্রস্ততা কাটিয়ে নতুন পাতায় ঋদ্ধ হয়ে উঠার সময়।
আম, লিচু গাছে ধরতে শুরু করেছে নতুন মুকুল। ফুটতে শুরু করেছে নানা জাতের, না রঙের ফুল। শিমুল-পলাশ, কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, নাগলিঙ্গম ইত্যাদি বাহারি ফুল ফুঁটছে। কদিন বাদেই শোনা যাবে কোকিলের কুহু কুহু কলকাকলি।
ফাল্গুন আর চৈত্র, বাংলার এ দুটি মাস নিয়ে বসন্ত। যার রয়েছে ‘ঋতুরাজ’ উপাধি, কারণ তার রূপে মুগ্ধ না হয়ে কেউ পারে না। বসন্তের এই মুগ্ধতায় মগ্ন হয়ে কবি, সাহিত্যিকরা লিখেছেন নানা ছন্দের কবিতা, গান। ফাল্গুন নামটি মুখে আসলেই সকলের মনে আপন সুরেই বেজে ওঠে কবি গুরুর ‘ফাগুন, হাওয়ায় হাওয়ায় করেছি যে দান’ গানটি।
বাংলা পঞ্জিকায় বর্ষের শেষ ঋতু বসন্তের প্রথম দিনকে বাঙালি পালন করে ‘পহেলা ফাল্গুন’ কিংবা ‘বসন্ত উৎসব’ হিসেবে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা বেশ ঘটা করে উদযাপন করে দিনটি। বাসন্তী রঙে রঙিন হয়ে ওঠে তরুণ-তরুণীরা।
এই বসন্তেই হয়েছিল বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলন, বসন্তেই বাঙালি পেয়েছে প্রথম জয়ের স্বাদ। শুধু প্রকৃতি কিংবা নিজ মনে নয় বাঙালির ইতিহাসেও এই বসন্ত এসেছিল বিজয় উচ্ছাস নিয়ে।