কদিন আগেই আমরা ঘুরে আসি। সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে আমরা সবাই কলেজে উপস্থিত হই। সেখান থেকে সাড়ে সাতটার দিকে বাসটি সোনামসজিদের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
আমি বসেছিলাম জানালার পাশে। রাস্তার দুই ধারে দৃশ্যগুলো আমাকে মুগ্ধ করছিল। সরষে ক্ষেত, সবুজ ফসল, কৃষকের কাজ করার দৃশ্য দেখে অভিভূত হয়ে যাচ্ছিলাম।
কিছুদূর যেতেই সব বন্ধুরা মিলে গান গাইতে শুরু করি। গাইতে গাইতে ও মজা করতে করতে আমরা পৌঁছে যাই গন্তব্যে।
বাস সোজা সোনামসজিদ সংলগ্ন রংধনু পার্কে গিয়ে থামে। নেমে সবাই ভেতরে যাই এবং ঘুরে দেখতে থাকি। এরপর আমরা ভ্যানে করে সোনামসজিদে যাই। প্রথমে সেখানে আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজমুল হক এবং বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের কবরে শ্রদ্ধা জানাই। ঘুরে ঘুরে দেখে এর ইতিহাস সম্পর্কে শিক্ষকদের কাছ থেকে শুনতে থাকি।
প্রাচীন ঐতিহাসিক সোনামসজিদের সৌন্দর্য দেখে আমি অবাক হয়েছি। কী নিখুঁত কাজ। তারপর আমরা ঘুরতে যাই তোহাখানা। এটিও আশ্চর্য রকমের সুন্দর। এরপর আমরা দেখি চামচিকা মসজিদ। সোনামসজিদ স্থলবন্দরেও গিয়েছি আমরা। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে হওয়ায় বিষয়টা আরও বেশি আকর্ষণীয় লেগেছে।
আবার ভ্যানে করে রংধনু পার্কে ফিরে দুপুরের খাবার খাই। খাওয়ার পর পরই শুরু হয় বিভিন্ন ধরণের খেলা ও প্রতিযোগিতা। শুরুতেই রাখা হয় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের হাড়ি ভাঙ্গা খেলা। শিক্ষার্থীদের জন্য ছিল লক্ষ্যভেদ খেলা।
দুর্ভাগ্য আমার । তিনটে সুযোগ পাওয়া সত্বেও আমি পারিনি। জয়ী না হলেও অনেক আনন্দ পেয়েছি। সফরকে জমজমাট করে দিয়েছিল লটারির ড্র। কেউ খুশি হয়েছে কেউবা উপহার না পেয়ে একটু বেজার হয়েছে।
সব আয়োজন শেষ করে সন্ধ্যায় আমরা রওনা দেই।