আমাদের অনেকেরই স্বপ্ন থাকে নিজের বাসার সামনে বা ছাদে পছন্দের সব গাছপালা লাগানোর।
কয়দিন আগে হুট করে এক বড় ভাইয়ের বাড়ি যাই। উদ্দেশ্য বেশ অনেকদিন পর ভাইয়ার সাথে সময় কাটানো। আমি অবশ্য তার যে শখের সাথে অনেক আগে থেকেই পরিচিত তা হলো তার শখের বাগান। এই বিষয়ে আমার আগ্রহের সীমানা খুঁজে পাওয়া মুশকিল। তার বাসায় ঢুকতে যাব তার আগেই আমার চোখ পড়ল টকটকে হলুদ সবুজ কামরাঙার দিকে। মনে হয় নাম শুনেই আপনাদের মুখে পানি চলে এসেছে। হা হা হা। যাইহোক ভেতরে ঢুকে ভাইয়ার সাথে কিছুক্ষণ আলাপের পর সময় পেলাম ভাইয়ার বাগানে যাওয়ার।
প্রথমে ছাদে তারপর বাসার সামনে। কী নেই? ফল ফুল গাছ সব রকম গাছ! সারি সারি করে সাজানো সুন্দর টব দেখেই বোঝা যাচ্ছিল মনে খুব যত্নে একটু একটু করে বড় করে তোলা হয়েছে।
এক কোণায় মাটি তুলে লাগান আছে ছোট্ট সাইজের শ্যাওড়া গাছ সাথে একটা রক্তবর্ণের তুলসি গাছ৷ সন্ধ্যের সূর্যের মিষ্টি আলোতে তা যেন আরও অপরুপ রূপ ধারন করল।
ছাদের ধার দিয়ে সারি করে রাখা আছে বিভিন্ন ফলের গাছ। মাল্টা, লেবু, কমলালেবু, পেয়ারা, জলপাই, করমচা, তেতুলসহ বাহারি রকমের গাছ।
মজার ব্যাপার হলো সব গাছের সাইজই খুব বেশি হলে
পাঁচ ফুট বা তারও কম। এই জিনিসটা আমার খুবই ভালো লাগে। ছোট ছোট গাছগুলো যখন ফলে ছেঁয়ে যায় তখন তা দেখতে কেমন হয় খুব জানতে ইচ্ছে করছিল।
সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় হলো বনসাই। সারিভাবে লাগানো এই অসম্ভব সুন্দর গাছগুলো বরাবরই আমার মন টানে৷
এরপরেই আমরা নেমে এলাম নিচে বাসার সামনে। এখানেও সুন্দর করে বাঁশ ও বেতের বেড়া দিয়ে গড়ে তুলেছেন শখের বাগান৷ সাথে সাথে সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে রঙ করেছেন বেড়াতে আর যাই হোক সৌখিন মানুষ বলে কথা!
এখানে শোভা পেয়েছে কামরাঙা থেকে শুরু করে ডালিম, আতা, সফেদা, আম, জামরুল, বরই, আমলকী এমনকি নারিকেল গাছও।
আশ্চর্যজনক হলেও ডাবের গাছ ছাড়া বাকি কোনো গাছের সাইজই খুব বেশি বড় না। ফলে অল্প যায়গাতেই মনের মতো করে ফুটিয়ে তুলেছেন নিজের পছন্দের বাগান।
তিনি আমাদের দেশ, জাতি মূলত তরূণ প্রজন্মের জন্য এক অনুপ্রেরণা। আমরা সবাই যদি এরকম করে ভাবি তাহলে আমাদের বাসার সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি আমাদের পরিবেশকেও রক্ষা করতে পারি সুন্দরভাবেই। এভাবেই ধীরে ধীরে গড়ে উঠবে সোনার বাংলা, সবুজ বাংলা।