মা

ছোটবেলা থেকে মায়ের হাত ধরে গুটিগুটি পায়ে এগিয়ে চলা। সে ছোট্ট বয়স থেকে আমি দেখে এসেছি, সবকিছুতে মা আমায় উৎসাহ দিতেন। বয়স যখন চার বছর তখন থেকে ছবি আঁকার প্রতি আগ্রহ তৈরি করেন আমার মাই।
মা

বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সাথে পরিচয়ও আমার মায়ের কারণে। বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের পেছনে উৎসাহ প্রদানকারী মানুষটা আমার মা।

পুরস্কার অর্জন করলে মায়ের মুখে যে হাসির রেখা দেখতে পেতাম। পুরষ্কার না পেলে যে উনি রাগ হতেন তা নয়।

মায়ের হাসিমুখ আমার মনটাকে ভালো করে দিত। ছবি আঁকা, গান করা, আবৃত্তি করা, সবই মায়ের ইচ্ছা। মায়ের ইচ্ছাটা আমার ইচ্ছায় পরিণতও হয়ে যায়।

কোথাও কোনো প্রতিযোগিতায় যাব শুনলে মা আমার জন্য দোয়া করেন, যাতে আমি আমার কাজটায় সফলকাম হতে পারি। মা আমার জন্য নামাজ পড়ে সবসময় দোয়া করেন। তিনি ছাড়া পৃথিবীর অন্য কোন মানুষ নেই যে আমার জন্য মঙ্গল চিন্তায় বিভোর থাকেন।

আমায় মা  সব জায়গায় নিয়ে যেতেন আমাকে। মায়ের সাথে আমার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। মায়ের কোলে মাথা রেখে গল্প শুনেছি কত!

আমি যে স্কুলে পড়ি সে স্কুলে আমার মাও পড়তেন। এখানে ভর্তির জন্য আমার চেয়ে আমার মায়ের কষ্ট বেশি হয়েছে। আগের স্কুল ছিল ফেনী শিশু নিকেতন, এখন যে স্কুলে পড়ি সে স্কুলের নাম ফেনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। স্কুলে ভর্তির জন্য মা সকালবেলা থেকে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত আমার সাথে ছিলেন। মায়ের রাতের ঘুম হারাম হয়ে যেত আমার চিন্তায়।

মা শুধু বন্ধু নন আরো বেশি কিছু। আমার মা আমার কাছে জান্নাত, স্নেহ, মায়া, মমতায় আর ভালোবাসায় গড়া শান্তির নীড়।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com