মাঝে মাঝে নিজে নিজে প্রতিবেদন তৈরি করে আপুকে পড়তে দিতাম। আপু পড়ে যখন বলত অনেক সুন্দর হয়েছে তখন আমার উৎসাহ আরও বেড়ে যেত।
আমার এই সাংবাদিকতার স্বপ্ন পূরণ করেছে হ্যালো। একদিন অনলা্ইনে খবর পড়ার সময় চোখে পড়ে হ্যালোর শিশু সাংবাদিকতার আবেদন ফরম। সাথে সাথেই আবেদন ফরমটি পূরণ করে ফেললাম।
একদিন হ্যালো থেকে আমাকে ফোন করে জানানো হলো রাজশাহীতে হোটেল ওয়ারিশনে দুইদিন ব্যাপী একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। এ কথা শুনে খুশিতে মন নেচে উঠল। জীবনে প্রথম কোনো কর্মশালায় যোগদান করব। অন্যরকম এক অনুভূতি।
৩১ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় পৌঁছে গেলাম হোটেল ওয়ারিশনে। সেখানে আমার মতো অনেককে দেখতে পেলাম। তাদের সাথে পরিচিত হয়ে খুবই ভালো লাগল। হ্যালোর পক্ষ থেকে আমাদের দেওয়া হলো কিছু উপহার। উপহারগুলো পেয়ে খুব ভালো লাগল। তারপর আমাদের প্রশিক্ষক সুলাইমান নিলয় ভাইয়ের সাথে সবাই পরিচিত হলাম। তিনি প্রথমেই আমাদের সবাইকে জীবনের লক্ষ্য সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন। তিনি আমাদের সাংবাদিকতার বিষয়গুলোর সাথে পরিচয় করিয়ে দেন এবং এর কলাকৌশলগুলো সুন্দরভাবে আমাদের সামনে উপস্থাপন করেন। এভাবেই আনন্দ এবং শেখার মধ্য দিয়ে কেটে গেল দুইটি দিন।
আমাদের সবার হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল আলম বেন্টু। সার্টিফিকেট হাতে পেয়ে কী যে আনন্দ হচ্ছিল তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। ওই দুইদিনে মিশে গিয়েছিলাম সবার সাথে। সবাই কত ভালো বন্ধু হয়ে গেছি দুইদিনের এই স্বল্প সময়ের মধ্যে। খুব খারাপ লাগছিল নতুন বন্ধুদের থেকে আলাদা হয়ে চলে আসার সময়। বার বার মনে হচ্ছিল এভাবে যদি সবসময় একসাথে থাকতে পারতাম! এই দুইদিনের কথা আমি কখনোই ভূলতে পারব না। এই দুইদিন আমার কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে সারা জীবন।