সৃষ্টি সুখের উল্লাসে

এসএসসি পরীক্ষার পর থেকেই ভাবছিলাম নতুন কিছু করব। এই ইচ্ছা শক্তি থেকেই মাথায় আসে হস্তশিল্পের কথা।
সৃষ্টি সুখের উল্লাসে

এটি এমন এক সৃজনশীল কাজ, যেখানে নিজের পছন্দ মতো বিভিন্ন জিনিস তৈরি করা যায়। হতে পারে সেটা অরিগ্যামি কিংবা অন্য কোনো হস্তশিল্প। অপ্রয়োজনীয় জিনিস থেকে নতুন কিছু তৈরি কিংবা নিজের নকশায়-গহনা তৈরি করা যেতে পারে। পোশাকের উপর রঙ তুলিতেও আঁকা যেতে পারে নকশা।

হস্তশিল্পের প্রতি আকর্ষণের কথা প্রথমেই জানাই মাকে। তিনি আমাকে যথেষ্ট উৎসাহ দিলেন। হস্তশিল্পের অনেক ধরন ও প্রকারভেদ আছে। প্রতিকৃতি আঁকা, গহনা তৈরি, টিপের ওপর নকশা করা, পোশাকে আঁকা, কাঠের বা কাগজের বিভিন্ন জিনিস তৈরিসহ অনেক কিছু।

আমি প্রাথমিকভাবে হস্তশিল্প হিসেবে বেছে নিয়েছি কাঠের এবং ধাতুর বিভিন্ন গহনা আর নকশা টিপ তৈরিকে। কিন্তু হস্তশিল্পের জন্য যে উপাদানগুলো অবশ্যই দরকার সেগুলো কোথায় পাব, সেটা নিয়ে ভাবছিলাম। শুরু করলাম খোঁজখবর নেওয়া। প্রথমেই ইন্টারনেটে খুঁজলাম যে কী কী উপকরণ দিয়ে কাজটা প্রাথমিকভাবে শুরু করতে পারি।

প্রাথমিক একটি তালিকা বানিয়ে আমি ছুটলাম বাজারে। কিন্তু দোকানে গিয়ে বেশ হতাশ হলাম। কারণ, প্রয়োজনীয় জিনিসগুলোর বেশির ভাগই খুঁজে পেলাম না।

পরে দেখলাম এই উপকরণগুলো অনলাইনে কিনতে পাওয়া যায়। কিন্তু হাতে পাওয়ার পর মন মতো হয়নি সব। তাই মনটাও খারাপ হয়ে যায়। এরপর আবার অর্ডার করি আমি।

জাম্পরিং, উডেনবেজ, হুক, বিভিন্ন রকমের সুতা, বিভিন্ন রকমের পিন, বিডস, পুঁতি সংগ্রহ করি। এরপর বানানো শুরু করলাম গহনা। পুরোটাই যেহেতু হাতের কাজ তাই পুরোপুরি নিখুঁত হচ্ছিল না।

ইউটিউব থেকে শিখতে থাকলাম। রোজ মনযোগ দিয়ে কাজ করতাম। সবাইকে উপহারও দিয়েছি আমার বানানো বিভিন্ন জিনিস। আমার পরিচিতজনরা তো ভীষণ খুশি।

যখন যে গহনা বা টিপ বানাতাম, তার ছবি ফেইসবুক পেইজে আপলোড করে দিতাম। পরিচিতদেরও জানাতে শুরু করি আমার কাজ সম্পর্কে।

হঠাৎ একদিন বেশ বড় একটা অর্ডার পেলাম। খুব যত্ন নিয়ে বানিয়ে পাঠিয়েও দিলাম। কিন্তু বিলটা পাওয়ার আগেই তিনি আমাকে ব্লক করে দিলেন। আমি তার সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারিনি। বিষয়টি আমাকে খুব কষ্ট দিয়েছিল। কিন্তু আমি থেমে যাইনি।

এখন আমি হস্তশিল্পের মাধ্যমে উপার্জন করে নিজের ছোট ছোট ইচ্ছেগুলো পূরণ করতে পারছি প্রতিনিয়ত।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com