মা-বাবার হাত ধরে গেলাম আমার জীবনের দ্বিতীয় স্কুলে। স্কুলের নাম আইজিএস, যেখানে দেখতে দেখতে কেটে গেল নয়টি বছর।
ইশ! সেদিন যদি জানতাম একদিন এই স্কুলটাকে ছেড়ে, এই পরিবারটাকে ছেড়ে যেতে হবে তাহলে স্মৃতির পাতায় এত এত স্মৃতিই জমা করতাম না। জীবনের প্রথম স্কুল না হলেও প্রথন বন্ধু, প্রথম পুরস্কার, প্রথম বুঝতে শেখা সবকিছুই এখানে। তাই 'হ্যালো'তে আমার প্রথম লেখাটাও দিলাম আইজিএসকে নিয়েই।
কেজি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছি এই স্কুলেই। তারপর নবম শ্রেণিতে ছেড়ে আসতে হলো প্রাণের স্কুলটাকে, প্রাণের শহরটাকে। স্কুলে কাটানো প্রতিটা মুহূর্ত এখনো মনে আছে স্পষ্ট। প্রতিটি শিক্ষক-শিক্ষিকা ভালবেসেছেন, শাসন করেছেন ঠিক আমার মা বাবার মতো। স্কুল প্রতিষ্ঠাতা শ্রদ্ধেয় হিমেল স্যার এর সাথে আমি কেন যেন কখনো কারো তুলনা করতে পারিনি। হয়তো তুলনা করা যায় না তাই!
ভাগ্যিস এই স্কুলে পড়েছিলাম, নাহলে স্যারের মতো এমন ব্যক্তিত্ব হয়তো কোথাও খুঁজেই পেতাম না। স্যারকে দেখলে কখনো বন্ধু মনে হতো, আবার কখনো বাবা।
যেদিন স্কুলটাকে ছেড়ে চলে আসি সেদিন স্যার আমাকে বলেছিলেন, এই স্কুলটা নাকি তার নয়, এই স্কুলটা আমার, যখনই সুযোগ পাব তখনই যেন চলে আসি। আর আমি স্যারকে আমার বানানো যে উপহারটা দিয়েছিলাম সেটা দেখিয়ে বলেছিলেন, "এটা দেখে তোমাকে মনে করব।" জীবনের এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি কি আর কিছু হতে পারে? আমার কাছে না। স্কুলকে হয়তো আমি কিছুই দিতে পারিনি কিন্তু আমি পেয়েছি অনেক কিছু, পেয়েছি অফুরন্ত ভালোবাসা। তাইতো মনে হয়ে আবার যদি ফিরে পেতাম সেই দিনগুলো!