এই আলোতে হয়তো অন্ধকার দূর হয়, আমরা দেখতে পাই। কিন্তু মনের অন্ধকার দূর হয় কি?
তাহলে প্রশ্ন হতেই পারে, কিসের আলোয় আলোকিত হতে পারি আমরা? উত্তর খুবই সহজ। জ্ঞানের আলো, শিক্ষার আলো। সূর্যের আলো দিয়ে আমরা দেখতে পারি, চলতে পারি। এ যেমন মহাসত্য তেমনই শিক্ষার আলো দিয়ে অন্যায়, অবিচার, সন্ত্রাস সব কিছুই দূর হয়।
যখন আমরা সুশিক্ষায় শিক্ষিত হব, আমরা আমাদের এই আলোকে সকল মঙ্গলের জন্য নিয়োজিত রাখতে পারবো।
এরিয়াল ডুরান্ট নামের একজন বলেছিলেন, "শিক্ষা হলো সভ্যতার রূপায়ন।" অর্থাৎ শিক্ষার মাধ্যমেই সভ্যতা বিকশিত হয়। মনুষ্যত্ব বৃদ্ধি পায়। আজ আমাদের আশে-পাশে যে অন্যায় অবিচার হচ্ছে, মানুষ মানুষকে খুন করছে, চুরি-ডাকাতি ঘটনা ঘটছে, ধর্ষণ বেড়েই চলেছে। এসবের পেছনে দায়ী কে?
যদি এক কথায় বলতে হয় তবে বলব, আমাদের এখনও মনুষ্যত্ব বোধের অভাব। আর এই অভাবটা পূরণের জন্যেই শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। শিক্ষা লাভের জন্য প্রধান অস্ত্রই হলো বই এবং শিক্ষক। যাদের দেখে আমরা অনুপ্রাণিত হতে পারি।
মোহাম্মাদ লুৎফর রহমান বলেছিলেন, "কোনো সভ্য জাতিকে অসভ্য করার ইচ্ছা যদি তোমার থাকে, তাহলে তাদের বইগুলো ধ্বংস কর, সকল পণ্ডিতকে হত্যা কর, তোমার উদ্দেশ্য সিদ্ধ হবে।"
এ থেকেই বোঝা যায় শিক্ষার গুরুত্ব কতটুকু! আমাদের চারদিকে যে আলো সেই আলোটুকু আমাদের ব্যাবহার করতে হবে, আমাদের জগতকে প্রকৃত অর্থে আলোকিত করতে হবে। এ জন্য দরকার শিক্ষিত জাতি, শিক্ষিত সমাজব্যবস্থা। তবেই সত্যিকার অর্থে এজগত আলোতে আলোকিত হয়ে উঠবে।