আমার বাড়ির দুর্গাপূজা

শরতের আগমনেই আকাশে ভাসে মিষ্টি মেঘ, শরতের আগমনেই বাতাসে ভাসে শিউলি ফুলের মিষ্টি গন্ধ। যা বয়ে আনে দুর্গাপূজার আগমনী বার্তা।
আমার বাড়ির দুর্গাপূজা

দুর্গাপূজা হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে সবচেয়ে বড় উৎসব। যে উৎসবে আমরা সকলেই একত্রিত হই। যার অপেক্ষায় থাকি আমরা প্রত্যেকেই। তেমনি অপেক্ষায় থাকি আমিও।

লোকমুখে শোনা যায় আমার গ্রামের বাড়ির দুর্গাপূজা নাকি ১৩০ বছর ধরে উদযাপন করা হচ্ছে। 

আমার গ্রামের বাড়ি মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার কলাগাছি গ্রামে। সেখানে সবাই আমাদের বাড়িকে লস্কর বাড়ি হিসেবেই চেনে। লোকমুখে শোনা যায় এক সময় আমাদের পূর্ব-পুরুষরা নাকি যশোর জেলার বাঘারপাড়া উপজেলার বাসিন্দা ছিলেন। তারা ছিলেন লাঠিয়াল। কলাগাছি গ্রামে আসার অনেক বছর পরে আমার এক পূর্বপুরুষ কোনো এক কারণবশত দুর্গাপূজা শুরু করেন। তারপর থেকে আজও উদযাপন হয়ে আসছে সেই দুর্গাপূজা।

প্রতিবছরের মতো এবছরও ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত  উদযাপন করেছি দুর্গাপূজা।

আমাদের কাছে দুর্গাপূজা মানে নতুন কাপড় পরে পূজা দেওয়া।  সবার সাথে একত্রিত হওয়া। আনন্দে, নাচে-গানে  মেতে ওঠা। যে আনন্দের কোনো সীমা থাকে না।

আমার বাড়ি দুর্গাপূজা খুবই ঐতিহ্যবাহী। পূজায় সবধরনের নিয়ম-নীতি মানা হয়। হরিতকী গাছের তলায় নবপত্রিকার পূজা, কুমারী পূজা, সিঁদুর খেলা, নিজেদের হাতে মূর্তি বিসর্জন দেওয়া, কাদামাটি করা, আমিষ ভোজনসহ আরো অনেক কিছু। যা আমার বাড়ির পূজার ঐতিহ্য এখনো বহন করে আসছে। 

দুর্গাপূজা শেষ কিন্তু মা দুর্গার প্রতি টান রয়ে গিয়েছে এখনো প্রত্যেকের মনেই । তাই আবারও শুরু হয়েছে পরের বছরের জন্য অধীর অপেক্ষা.....

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com