কুঠিবাড়িতে একদিন

ভ্রমণ আমার খুব ভালো লাগে। আর সেটা যদি হয় স্কুলের শিক্ষাসফর তাহলে তো কথাই নেই।
কুঠিবাড়িতে একদিন

গত বছর আমরা স্কুল থেকে শিক্ষাসফরে যাই শিলাইদহে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়িতে। দিনটা ছিল সোমবার। প্রতিদিনের মতো ঘুম থেকে সকালে উঠি সেদিন। কিন্তু প্রতিদিনের তুলনায় একটু তাড়াতাড়ি উঠি। প্রয়োজনীয় কাজগুলো করে, প্রস্তুত-পরিপাটি হয়ে খুশি মনে বাড়ি থেকে সকাল ৭টার দিকে রওনা হই আমার স্কুল অর্থাৎ যশোর জিলা স্কুলের পথে।

স্কুলে গিয়ে আমরা বন্ধুবান্ধব সবাই একত্রিত হলাম। শিক্ষকরা আমাদের নানান দিকনির্দেশনা দিলেন। কী করা যাবে, কী করা যাবে না, কোথায় সতর্ক থাকতে হবে ইত্যাদি। ৮টা বাজতে বাজতেই আমাদের বাস যাত্রা শুরু করল। সবাই যার যার বন্ধুরা মিলে একসাথে বসল। শিক্ষকরাও ছিলেন আমাদের সঙ্গেই। সে কী হইচই আর উল্লাস। যেন আমরা হিমালয় জয় করতে যাচ্ছি। যেতে যেতে উপভোগ করছিলাম বাংলার মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য।

কী এক অসাধারণ সবুজে ঘেরা আমার স্বদেশ। খুব বেশি সময় লাগল না, ১২টার দিকেই আমরা পৌঁছে যাই কুষ্টিয়ায়। কুঠিবাড়িতে যাওয়ার পর আমাদের একজন শিক্ষক সবার জন্য কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করেন। শিক্ষকদের নির্দেশনা মতো আমরা তাদের সাথে ভেতর প্রবেশ করি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যবহৃত অসংখ্য জিনিসপত্র আছে এখানে। যেগুলো দেখলে খুব সহজেই আন্দাজ করা যায় রবী ঠাকুরের সৌখিনতা। কুঠিবাড়ির চারদিকে ঘুরে ঘুরে দেখি আমরা।

এরপর যাই কুঠিবাড়ি থেকে একটু দূরে ‘পদ্মার চর’ নামক স্থানে। সেখানকার মনোরম দৃশ্য দেখে অবাক হই। কী চমৎকার জায়গাটি। পদ্মার চর থেকে কুঠিবাড়িতে ফিরে আসতে আসতে দুপুর হয়ে যায়। দুপুর গড়াতেই আমরা খাবার খেয়ে নিলাম। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়ার পর আয়োজন করা হয় বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতা। বিজয়ীদের জন্য ছিল পুরষ্কারের ব্যবস্থা। সূর্য পশ্চিম আকাশে ডোবার আগেই খেলা ও পুরষ্কার বিতরণ পর্ব শেষ হয়ে যায়। অনেক আনন্দে দিনটা কাটানোর পর সন্ধ্যায় আমরা রওনা হই যশোরের উদ্দেশ্যে।

রাত সাড়ে আটটার দিকে আমরা স্কুলে এসে পৌঁছাই। সেখান থেকে যে যার বাড়িতে চলে যাই। কিন্তু দিনটা প্রায়ই স্মৃতির পাতায় উঁকি দিয়ে যায়।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com