শিক্ষক জ্বালান মনে প্রদীপ, প্রতিভা বিকাশে শিক্ষক ছড়ান জ্ঞানের আলো অশিক্ষার আকাশে।
তবে এইজন্য শিক্ষককে হতে হবে বন্ধুর মতো। শিক্ষার্থীকে জানার এবং বোঝার ক্ষমতা থাকতে হবে। শিক্ষার্থীকে বড় মানুষ হবার স্বপ্ন দেখানোর মতো প্রবল ক্ষমতা থাকলেই তিনি একজন প্রিয় শিক্ষক হয়ে উঠবেন। আমার মনে হয় একজন শিক্ষকের এমন হওয়া উচিত যাতে শিক্ষার্থীরা জটিল বিষয়েও খোলামেলা আলোচনা করতে পারে।
আমি তেমন ভালো ছাত্র নই। মাঝামাঝি অবস্থানে থাকতাম সবসময় এবং এখনো তাইই আছি। আমি কারো সাথে আহ্লাদ করতাম না। কিন্তু দেখতাম আমাদের ক্লাসের ভালো ছেলেরা এবং খারাপ ছেলেদেরও স্যারদের সাথে অনেক সখ্যতা, ওরা স্যারদের সাথে একটা আহ্লাদ নিয়ে কথা বলে। আর স্যাররাও ওদের অনেক আবদার রাখতেন। কিন্তু আমার সাথে কোনো শিক্ষক ঐভাবে কথা
বলতেন না বলে খুব মন খারাপ থাকত। আমিই হয়তো সাহস করতাম স্যারদের কাছে যাওয়ার।
ক্লাসে কোনো পড়া না বুঝলে শিক্ষকদের বলতাম না। অনেক ভয় লাগত, কিছু কিছু শিক্ষককে আমি খুবই ভয় পেতাম।
শিক্ষকের বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যবহার খুব মিস করতাম। তারপর এক গ্রামের এক বড় ভাইয়ের কাছে প্রাইভেট শুরু করলাম। তখন আমি অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। শুরুতে উনাকেও অন্যসব শিক্ষকদের মতোই লাগত।
তবে ধীরে ধীরে তার সাথে সখ্যতা গড়ে ওঠে, স্যারও অনেক বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যবহার করেন। কোনোকিছু না বুঝলে কখনো বকা না দিয়ে শিখিয়েন দেন।
স্যার বার বার সেই বিষয় বিভিন্নভাবে বোঝানোর চেষ্টা
করেন। বাড়ির কাজ না করলে শাস্তি দিতেন বটে তবে সেটাও খারাপ লাগত না কেন জানি। উনার কাছে পড়ার সময়ও আমি প্রশান্তি অনুভব করতাম।
এভাবেই স্যার আমার প্রিয় শিক্ষকে পরিণত হলেন। স্যারের নাম মীর মোহাম্মদ মিনহান স্যার। শুধু তাই নয় আমার আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে স্যার আমার বেতন ধরে দেননি কখনো। শুধু বলেন তোমার যা ইচ্ছে দিও। আমি এখনও মিনহান স্যারের কাছেই পড়ছি।
প্রতিটি ছাত্র শিক্ষক সম্পর্ক হোক বন্ধুত্বপূর্ণ। আমার প্রিয় শিক্ষকের জন্য রইল অনেক ভালোবাসা আর সকল শিক্ষকদের জন্য শিক্ষক দিবসের শুভেচ্ছা।