লোকের নিন্দা, অবহেলার শিকার হচ্ছে সেই হিজরারা। লিঙ্গে ভিন্নতা থাকার কারণে লোকের কটু কথা শুনতে হয় তাদের। তাদের এই বেঁচে থাকাটা আমার কাছে শুধু দিন পার করা মনে হয়।
তারা রাস্তায় ঘুরে, দোকানে গিয়ে অন্যের কাছে টাকা তোলে; যাকে আমরা ভিক্ষাবৃত্তি বলি। দিতে না চাইলে জোড় করে, মানুষকে বিব্রত করে। এজন্যে মানুষ তাদের আরও দূর দূর করে। কিন্তু কেউ ভাবে না কেন তারা এভাবে মানুষের কাছে গিয়ে হাত পাতে।
হয়তো তারাও স্বপ্ন দেখতো আজ , জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতো। কিন্তু সমাজ তাকে বাধ্য করেছে এসব করতে। তাদের অনেকেরই মা বাবা আছেন। কিন্তু তারা পরিবার থেকেও আলাদা। আমি জানি না তাদের পরিবার তাদের আলাদা করে কেন রেখেছে? নাকি তারা ইচ্ছে করে দূরে থাকে।
আমার কেন জানি মনে হয় সমাজ তাকে বিতারিত করছে। আমরা তাদের ঠেলে দিচ্ছি তারা অনিরাপদ ভবিষ্যতের দিকে। সুযোগ পেলে তারাও হতে পারে দেশ সেরা। ভিন্ন লিঙ্গের হয়ে জন্ম নিয়েছে, এটাই কি তাদের ভুল?
আমাদের দেশ উন্নয়নশীল দেশ হয়েছে, আমরা উন্নত হচ্ছি। কিন্তু উন্নয়ন কি তৃতীয় লিঙ্গের মানুষটার ঘর অব্দি পৌঁছুচ্ছে? তাদের সাথে বৈষম্য কেন করা হচ্ছে?
যেকোনো ফর্ম পূরনের ক্ষেত্রে এটা সবচাইতে বেশি চোখে পড়ে। সেখানে নারী এবং পুরুষ দুটি লিঙ্গ থাকে কিন্তু হিজরাদের জন্য কোনো তৃতীয় স্থান দেওয়া থাকে না। তাহলে তারা কোনটা পূরন করবে। তারা তাদের পরিচয়টা তৈরি করবে কীভাবে? এসকল নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে তাদের জন্য।
এভাবে সমাজ থেকে অবহেলিত হলে তারা তো বিপথে যাবেই। তাহলে কোথায় তাদের অধিকার? মৌলিক অধিকার থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে তারা। কিন্তু কে দেবে তাদের এ অধিকারগুলো? সমাজ, দেশ, নাকি আমি?