সেই স্কুল ড্রেস, সেই পেন্সিল, সেই রাবার কিংবা কলম সব কিছুর সাথেই আলাদা একটা গল্প থাকে আমাদের। সবশেষে স্কুলের বন্ধুরা, যাদের সাথে সময়টা যে কিভাবে কেটে যেত হয়ত জানতামই না আমরা।
খুব আনন্দ নিয়ে স্কুল যেতাম। একটা স্বপ্ন দেখতাম প্রতিদিন, আমিও একদিন শিক্ষক হব, বাচ্চাদের পড়াবো। আমাদের জীবনে আসলে সবচেয়ে বড় পরিবর্তনটা আনেন আমাদের স্কুলের শিক্ষকরা, তাদের থেকেই আমরা আমাদের প্রকৃত শিক্ষা পাই, তারপর তা প্রয়োগ করেই চলি।
কিন্ত আজ স্কুল মাঠের মজা, গাছে উঠে বসে থাকার মজা ঢাকার স্কুলগুলো কি দিতে পারছে? পাঁচ তলা একটা বাসার মাঝে স্কুল হচ্ছে। কী অদ্ভুত! পুরান ঢাকার এত এত অলি গলি নিয়ে অনেকে বলে বায়ান্ন বাজার তেপ্পান্ন গলি। আর এই স্কুলগুলোর কথা মনে হলে আমার বলতে ইচ্ছে করে, তেপ্পান্ন গলির চুয়ান্ন স্কুল।
শিক্ষার জন্য আমাদের দরকার পরিবেশ, কিন্ত কবুতরের ঘরের মতো এত ছোট দমবন্ধকর পরিবেশে আর যাই হোক শিক্ষা হয় না।
আমরা স্বপ্ন দেখি একটা বিদ্যালয় যার সামনে একটি সবুজ মাঠ থাকবে সবাই সকালে লাইন ধরে সমাবেশে দাঁড়াবে, এক সাথে শপথের পর জাতীয় সংগীত গাইবে বুকে হাত দিয়ে, টিফিনে বরফ পানি খেলতে খেলতে টিফিনের সময় শেষ হয়ে যাওয়ার আফসোস করবে।
আজ এই সবুজ মাঠ তো দুরে থাক এমন একটা পরিবেশে কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলো করা হয় যেন এইটা একটা স্কুল না জেল খানা; যেখানে সূর্যের আলো আসে না! যেখানে কোনো গাছপালা নেই, নেই কোনো মাঠ।
শিশুদের নিয়ে আপনাদের শত শত অভিযোগ, তারা মোবাইলে আসক্ত, ভিডিও গেমে আসক্ত।
একবার কি ভেবে দেখেছেন, আপনার শৈশবের সঙ্গে তার শৈশবের কতটা পার্থক্য? মাঠ ছাড়া আমরা আর যাব কোথায়? তখন ভরসা একমাত্র আমাদের মোবাইল ফোন কিংবা কম্পিউটারই।