এতো চাপের মধ্যেও আমার মনে হয় জীবন উপভোগ্য। টিফিনের ফাঁকে বন্ধুদের সাথে ১৫ মিনিটের প্রাণখোলা আড্ডা চার-পাঁচ ঘণ্টা পড়ার ক্লান্তি অনেকটাই কমিয়ে দেয়। শিক্ষকদের দেখানো উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন যদিও এই পড়ার পরিশ্রমকে অনেকটাই সহনীয় করে তুলেছে।
রাস্তার ভিক্ষুক শিশু বা গণপরিবহনের চালকের সাহায্যকারী কিশোরটিকে দেখে নিজেকে সৌভাগ্যবান বলে মনে করা উচিত কারণ আমি পড়ার যে সুযোগটা পাচ্ছি সেটা সে পায়নি। জরুরী বিভাগের অসুস্থ মানুষটির চেয়েও সৌভাগ্যবান কারণ অন্তত সুস্থ আছি। আবার কাল যে আমি তার জায়গায় থাকব না এমন কোনো কথা নেই। তাই আজ যতটুকু সম্ভব বেঁচে থাকি, উপভোগ করি জীবন।
রাতের খাবার টেবিলে পরিবারের সাথে কাটানো সময় দিনের ক্লান্তি দূর করে, মনে করিয়ে দিতে পারে যে আমি একা নই, বাবা মা সবসময় সাথে আছেন। চারপাশটা সত্যি সুন্দর। একবার শুধু নিজের একটু ভাবতে হবে, আমি ভালো থাকতে চাই, সুখী থাকতে চাই।
পড়ালেখার চাপ, কোথায় ভর্তি হবো, কী করব নিয়ে যখন অস্থিরতা তখনও আমি জীবনটা আনন্দে ভাসিয়ে দেই, সুখ খুঁজে নিই।