১০ বছরের স্কুল জীবনে আমি অনেক বন্ধু পেয়েছি। জীবনের খারাপ সময়ে কাউকে পাশে পেয়েছি, কাউকে পাশে পাইনি। আমার সেই 'অন্যরকম বন্ধু' ছাড়া অন্য কেউ আমাকে নিঃস্বার্থ ভাবে ভালোবাসতে পারেনি।
আমার বোনের নাম লিজা। সে আমার থেকে দশ বছরের বড়। তার সঙ্গে আমি সব কথা শেয়ার করি।
কোনো কাজে আমি ব্যর্থ হলে সে আমাকে অনুপ্রেরণা ও সাহস জোগায়। আবার কোনো কাজে আমি সফল হলে সে এতোটা উচ্ছ্বসিত হয়, মনে হয় যেন সে নিজেই সে কাজে সফল হয়েছে! বন্ধুর ধর্ম তো এমনই হওয়া উচিত।
আমি ছোটবেলা থেকেই লেখালেখি করতে ভালোবাসি। লিজা আপুই শুধু আমার লেখালেখিকে শিক্ষার একটা অংশ ভেবে প্রতিনিয়ত অনুপ্রেরণা দিয়ে যাচ্ছেন।
সারাদিন মারামারি-ঝগড়াঝাটি করার পরেও খাবার টেবিলে বসে নিজের পছন্দের খাবার আমার প্লেটে তুলে দিয়ে সে স্বর্গসুখ অনুভব করে। তার হৃদয়ে আমার জন্য কতটুকু ভালোবাসা আছে, সেটা যদি পরিমাপ করতে পারতাম!
২০১৬ সালের জুলাই মাসে আমার বোনের বিয়ে হয়ে যায়। এবছরের জুনের ১০ তারিখে আমি মামা হয়েছি। আমার বোনের কোলজুড়ে ফুটফুটে ছেলে শিশু এসেছে। আপু আর দুলাভাই শিশুটির নাম রেখেছে 'তাহমিদুজ্জামান সাদিক ইবনে জুবায়ের'।
আপুর শ্বশুরবাড়ি পাবনায়। নিয়মিত ফোনে কথা হলেও গ্রামের বাসায় গেলে আমি আপুকে খুব মিস করি। মাঝেমধ্যে জ্বলজ্বল করে পুরনো স্মৃতিগুলো ভেসে ওঠে। আমি প্রায়শই পাবনায় ঘুরতে যাই। কিন্তু সেখানে গিয়ে তো আর মারামারি করা যায় না!
আপুকে হয়তো কখনো বলা হয়ে ওঠেনি, "আপু, শুধু তুই না; আমিও তোকে খুব ভালোবাসি।"