Published: 2019-07-15 19:32:48.0 BdST Updated: 2019-07-15 19:32:48.0 BdST
এর অনেকগুলো কারণও আছে। প্রথমত পড়তে ভালো লাগে না। কষ্ট পাই, খুব লজ্জা লাগে। নিজের প্রতি ঘৃণা হয়। ভাবি, এসব রোধে আমি কিছুই করতে পারলাম না, অথচ আমার বয়সে কতজনই তো যুদ্ধে গিয়েছেন, দেশকে মুক্ত করেছেন। আর আমি? না আমি, না রাষ্ট্র কেউ কিচ্ছু করতে পারছি না। এ কষ্ট কুড়ে কুড়ে খায় আমার মনকে। এক ধরনের আতঙ্ক ঘিরে ফেলে আমাকে।
আমাদের দেশে কোনো ঘটনা ঘটলে খবর প্রকাশ হওয়ার পর পরই শুরু হয়ে যায় ফেইসবুকীয় মাতম। মানববন্ধন, মিছিল, মিটিং এসন দুদিনের ব্যাপার। এরপর থেমে যাই সবাই। এমন উদাহরণ রয়েছে হাজার হাজার।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বের অন্যান্য দেশের চেয়ে বাংলাদেশে ধর্ষণের হার অনেক বেশি। আর দিন দিন এর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। কিছুদিন আগেও দেখলাম একটা ধর্ষণ মামলার বিচার হয়েছে। দেখে আশার প্রদীপ জ্বলে উঠেছিল। কিন্তু সেটা সংখ্যায় খুবই কম।
আমি মনে করি বিভিন্ন প্রকার আইন থাকলেও আইনের শাসন না থাকার কারণে ধর্ষণের মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এগুলো জাতিকে ক্ষুদ্র করে। সকল অর্জনকে ম্লান করে। তারুণ্য হারায় দীপ্ততা, লজ্জা হয়। কিন্তু অবাক করার বিষয় লজ্জিত হওয়ার ক্ষমতাটুকুও নিজের হারিয়ে ফেলেছি। হরহামেশা নির্যাতন, ধর্ষণের খবর আর পাঁচটি সাধারণ ঘটনার মতোই পড়ে যাচ্ছি। একটুও বুক কেঁপে উঠছে না আমাদের।
বরং অনেকে ঘটনাকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা চালায়। খবর পড়েই আমরা নির্যাতিতার ত্রুটি খুঁজতে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। বিভিন্ন পত্রিকার মন্তব্যের ঘর দেখলেই বোঝা যায় আমরা কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছি।
যারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় তারা প্রত্যকেই দেখেছেন নিশ্চয়ই। উদাহরণ টেনে লেখা বড় করার প্রয়োজন মনে করছি না।
তাই আমাদের উচিত সামাজিক ও জাতীয় জীবনে নৈতিক মূল্যবোধ সুগঠিত ও সুসংগঠিত করা। তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহার ও অশুভ বিস্তার থেকে দূরে থাকা। এসবের দায়িত্ব প্রধানত রাষ্ট্রের। সমাজ ও পরিবার সাহায্য করতে পারে আবার রাষ্ট্রকে। তাই আমাদের সামাজিকভাবে দায়বদ্ধ হয়ে রাষ্ট্রের উপকার করা উচিত। পাশাপাশি আমাদের বহু ঐতিহ্যের পারিবারিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য লালন করতে হবে। তাহলে যদি অশুভের প্রতিরোধ করা যায়।