কলেজের প্রথমদিন; একটু হাসি, একটু ভীতি

কলেজ, জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় অতিক্রান্ত হয় এখানেই। আর বলা হয়ে থাকে উচ্চ শিক্ষার প্রথম ধাপ কলেজ।
কলেজের প্রথমদিন; একটু হাসি, একটু ভীতি

১০ বছর স্কুল জীবন শেষে কলেজে পড়ার সুযোগ একদিকে যেমন গর্বের অন্যদিকে কিছুটা ভীতিরও। তাই কলেজের প্রথম দিন জীবনের অন্য সাধারণ দিনগুলোর চেয়ে কিছুটা ভিন্নই বলা চলে।

বাসার নিকটেই ভর্তি হলাম বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) কলেজে। বিসিআইসির অধীনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দ্বারা পরিচালিত হয় এই কলেজ, যদিও সেনাবাহিনী দায়িত্ব নিয়েছে মাত্র কয় মাস হলো, তাই নিয়ম শৃঙ্খলার ব্যাপারে বেশ কঠোর কর্তৃপক্ষ।

বিজ্ঞান বিভাগের জন্য সুনাম কুড়ানো দেশের এই অন্যতম সেরা কলেজে ভর্তি হওয়া বেশ আনন্দেরই। তবে আনন্দ জলে মিলে যায় যখন ভর্তি হওয়ার সময়ই শুনি ২৪ তারিখ প্রথম টিউটোরিয়াল পরীক্ষা।

কলেজে ঢুকে যেখানে যে কাজেই যাচ্ছি শৃঙ্খলা রক্ষা করতে সব জায়গায় সারিবদ্ধভাবে দাঁড়াতে হয়েছিল। ভর্তির দিন থেকেই কড়াকড়ি! এখানে যারা ভর্তি হতে আসে তাদের প্রথম দিনেই ভর্তির কাজের জন্যে একটা করে আইডি কার্ড দেওয়া হয়। ভর্তির সময় যারা আইডি কার্ড পরে আসেনি তাদের কোনো কাজ করতে দেওয়া হয়নি।

কলেজের প্রথম দিনেই কলেজে ঢুকেই সবাই সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ালো। আমাদের অধ্যক্ষ কর্নেল মাহফুজুল স্যার বক্তব্য দিলেন খোলা মাঠে, রৌদ্র দুপুরে। মোবাইলের ক্ষতিকর দিক, লেখাপড়া, শৃঙ্খলা, নৈতিকতা, মানবিকতা সব ছিল তার বক্তব্যে।

তারপর ওরিয়েন্টশন ক্লাসে শিক্ষকরা তাদের পরিচয় দেন। প্রথমদিনই সিলেবাস, প্রোস্পেক্টাস, ইভেন্ট ক্যালেন্ডার দেওয়া হলো। ২৪ তারিখ পরীক্ষা শুরু। মজার বিষয় হলো সিলেবাস ও প্রোস্পেক্টাসের উপর ৫ নম্বরের পরীক্ষা হবে যেখানে থাকবে শৃঙ্খলা, নিয়মকানুনসহ সকল কিছু। তারপর কলেজের হাউজ, ক্লাব, ল্যাব, লাইব্রেরি সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা দেওয়া হলো। সত্যি বলতে প্রথমদিনটা পুরো অন্যরকমই ছিল, কেউ কাউকে চিনি না, সবাই নতুন। সেইদিন থেকেই সব ক্লাস সিরিয়াসভাবে শুরু হলো। সত্যি দিনটি আমার কাছে ছিল রোমাঞ্চে ভরপুর।

কিন্তু পরীক্ষার সিলেবাস আমাকে বাকরুদ্ধ করে দেয়। বলার আর কিছুই নেই, স্মৃতির পাতায় যুক্ত হলো নতুন অভিজ্ঞতা, সূচনা হলো নতুন এক পথ চলার।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com