নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার কুসুম্বা গ্রামে দেশের অন্যতম প্রাচীন মসজিদ 'কুসুম্বা মসজিদ' অবস্থিত।
মসজিদের প্রবেশ দ্বারে স্থাপিত নামফলক সূত্রে জানা যায়, মসজিদটির নির্মাণকাল হিজরি ৯৬৬ সাল (১৫৫৮ খ্রিস্টাব্দ)।
আফগানী শাসনের শেষদিকে শাসক গিয়াসউদ্দীন বাহাদুর শাহ আজমের আমলে প্রাচীন এই মসজিদটি নির্মিত হয়।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সূত্রে জানা যায়, মসজিদটি দৈর্ঘ্যে ৫৮ ফুট ও প্রস্থে ৪২ ফুট।
মসজিদটির স্থাপত্য রীতিতে দেশীয় প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। মসজিদটির মূল গাঁথুনি ইটের হলেও সম্পূর্ণ দেওয়াল পাথরের আস্তরণে ঢাকা।
মসজিদটির বাইরের ও ভেতরের দেওয়ালে চমৎকার সব নকশা ফুটে উঠেছে। মসজিদটির সামনে প্রায় ২৬ একর আয়তনের একটি বিশাল দীঘি রয়েছে।
মসজিদটি নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলা সদর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দক্ষিণে ও নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কের ঠিক উত্তর পার্শ্বে অবস্থিত। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় যে কেউ সহজে এখানে আসতে পারে।
'মসজিদটি একরাতে আপনা আপনি হয়ে গেছে' এরকম ধরণের কল্পকাহিনী কুসুম্বা ও আশেপাশের গ্রামে প্রচলিত আছে। যদিও ঐতিহাসিকভাবে এধরণের কোনো কথার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
অনেকে দূরদূরান্ত থেকে প্রাচীন এই মসজিদটি দেখতে আসে। কেউ আসে নিজের মানত পূর্ণ করার জন্য।
গরু-খাসি জবাই করে অনেকে লোকজনকে খাওয়ায়। কথিত আছে, এখানে মানত করলে সেটা পূর্ণ হয়। যদিও এর কোনো ভিত্তি পাওয়া যায়নি।
মসজিদটির কারুকার্য আমাকে মুগ্ধ করে, তাই প্রায়শই আমি মসজিদটিতে ঘুরতে আসি।
বঙ্গবন্ধুর ছবি সম্বলিত পাঁচ টাকার নোটের উল্টো পাশে প্রাচীন এই মসজিদটির ছবি রয়েছে।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এই মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণ করছে। দিনদিন এই মসজিদটি বাংলাদেশের অন্যতম দর্শনীয় পর্যটন স্থানে পরিণত হয়ে উঠছে।