বিভিন্ন দেশে রমজান মাস সকল শ্রেণি পেশার মানুষের জন্য আনন্দের হলেও আমাদের দেশে এ উৎসব কেবল ধনীর। জিনিস পত্রের যে দাম তা দেখে আমার শুধু মনে হয় এই উৎসব কী শুধুই ধনীর জন্য?
আরো মন খারাপ হয় যখন টেলিভিশন, পত্রিকা খুলেই দেখি ভেজাল পণ্যে বাজার সয়লাব, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের বাড়তি দাম।
শুনেছি অনেক দেশে রমজান মাস এলেই নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমিয়ে দেওয়া হয়। বাংলাদেশে তার ভিন্ন চিত্র, রমজান এলেই অসাধু ব্যবসায়ীরা বাড়িয়ে দেয় জিনিসের দাম। ব্যবসায়ীদের দাবি বাজারে চাহিদা থাকায় দাম একটু বাড়তি। আসলে কি তাই..? পণ্যের চাহিদা থাকবেই। এজন্যে এভাবে দাম বাড়িয়ে দিতে হবে? অনেক সময় সংকটের কথা বলেন। নাকি নিজেরাই বেশি লাভের জন্য বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে ফায়দা লুটছেন?
আমি এত কিছু বুঝি না। শুধু এইসব কৃত্রিম সংকট তৈরি করা ব্যবসায়ীদের বলব আপনার তো দাম বাড়লে কোনো সমস্যা নাই, আপনারা সচ্ছল। একবার নিম্ন শ্রেণির মানুষের কথা ভাবুন, তারা কীভাবে সংসার চালায়? কেবল সরকারের সঠিক নজরদারি পারে এসব নিয়ন্ত্রণে আনতে।
এদিকে প্রতিদিন পত্রিকার আরেকটি ভাষা হয়ে উঠেছে খাদ্যে ভেজাল। মানুষ হয়ে মানুষকে ঠকিয়ে ব্যবসা করা যেন ব্যবসার এক মাত্র হাতিয়ার হয়ে উঠছে।
ছোট কোম্পানি থেকে নামী দামি কোম্পানিগুলোও নেমেছে সাধারণ মানুষকে ভেজাল পণ্য গছিয়ে দিতে। যাদের উপর আস্থা রাখি তারা যদি ভেজাল খাদ্যে বানায় তাহলে আমরা কার উপর আস্থা রাখব?