মায়ের হাতের রান্না

রাজশাহী শহর থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে আমাদের ছোট্ট গ্রাম। গ্রামের নামটাও অদ্ভুত। প্রথমবার আমাদের গ্রামের নাম শুনলে কেউ হাসি আটকাতে পারে না। নাম হলো, 'পিঁপড়া কালনা'!
মায়ের হাতের রান্না

পড়াশোনার জন্য ক্লাস সিক্সেই আব্বু আমাকে শহরে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। সঙ্গে পাঠিয়েছিলেন আমার দাদীকে। আমার বোন তখন রাজশাহীতে পড়তেন।

সেই থেকেই আমি, দাদী ও আমার বোন রাজশাহী শহরে বাসা ভাড়া করে থাকতাম। অবশ্য এখনো থাকি। কিন্তু দুই বছর ধরে শুধু আমি ও দাদী থাকি। কারণ আমার বোনের বিয়ে হয়ে গেছে।

কখনো দাদী, কখনো আপু, দুজন মিলেমিশে রান্নাবান্না করতেন। আপুর বিয়ে হয়ে যাবার পর দাদীই সব করেন। শহরের আধুনিক সুযোগ সুবিধার মধ্যে যে জিনিসটা সবচেয়ে বেশি মিস করি, সেটা হলো আম্মুর হাতের রান্না।

পড়াশোনার চাপে গ্রামে ঘনঘন আসা হয় না। এক মাস, দেড় মাস, অনেক সময় দুই-তিন মাস পর আসা হয় গ্রামে। ছুটির ব্যাপ্তিও খুব সংক্ষিপ্ত, সাত থেকে দশদিন।

আম্মুও মাঝেমধ্যে শহরে যান। তবে সেটা খুব কম। কৃষিজীবী পরিবার হওয়ায় আম্মুর বাসায় অনেক কাজ থাকে।

প্রত্যেকের কাছেই তার মায়ের হাতের রান্না যেন অমৃত। আমার কাছেও তেমন। আমি এটা জোর দিয়ে বলতে পারি, আমার মায়ের হাতের রান্না কম বেশি সবার কাছেই ভালো লাগবে।

এসএসসির পরীক্ষার পর আমি গ্রামেই আছি মাস দুয়েক ধরে। কলেজ শুরু হতে আরো দেড় মাস। গ্রামে বেশ ভালোই লাগছে আমার। সঙ্গে আম্মুর হাতের রান্না। আহা, অমৃত!

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com