কদিন আগেই মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা হয় সারাদেশে। সেই পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়ে সারাদেশে কয়েকজনের আত্মহত্যার খবর দেখলাম গণমাধ্যমে। খুবই মর্মান্তিক!
আত্মহত্যা করা সেই ছেলেমেয়েগুলোকে অতি বোকা বলে আখ্যায়িত করতে চাই। আমি হয়তো আজ অকৃতকার্য হয়েছি তবে সামনে তো ভালো করতে পারি। তাই নয় কি? তাহলে এই সম্ভাবনা কেন গুঁড়িয়ে দেব মুহুর্তের ভুলে?
মাঝে মাঝে কিছু পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার পর দেখি অল্পের জন্য জিপিএ পাঁচ না পাওয়ার কারণে অনেক ছেলেমেয়ে আত্মহত্যা করে।
আচ্ছা আমাদের জীবনটা কি শুধু পরীক্ষায় জিপিএ পাঁচ পাওয়ার জন্যই? জিপিএ পাঁচ ছাড়া কি জীবনে ভালো কিছু করা সম্ভব না? অবশ্যই জীবনে ভালোকিছু করা সম্ভব। কারণ জীবন যুদ্ধে জিপিএ পাঁচ খুব বড় কোনো সাহায্য করতে পারে বলে আমার মনে হয় না। আমি কতটা মেধাবী, কতটা বুদ্ধিমান, নতুন পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে কতটা যোগ্য সেটাই মূখ্য বিষয়।
আমি নিজেই এবার দিনাজপুর বোর্ড থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলাম। পাশ করলেও ফলাফল আশানুরূপ হয়নি। এতে হয়তো আমাদের সমাজের আশে পাশের মানুষ জন নানা কথাই বলবে। অনেকেই বলবে ছেলেটা এত খারাপ ফলাফল করেছে। ছেলেটা একদম গাধা, বড় হয়ে কী করে খাবে?
আমি সেসব মানুষের কথাকে মূল্য দেই না। কারণ আমি নিজের কর্মফলেই এই ফলাফল করেছি। যদি ঠিকভাবে পড়াশোনা করতাম তাহলে হয়তো বা ভালো ফলাফল করতাম।
আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে আমরা জীবনে যাই অর্জন করবো তা কিন্তু আমাদের নিজের যোগ্যতা দিয়েই অর্জন করে নিতে হবে। আমাদেরকে অন্য কেউ অর্জন করে দেবে না। তাই অন্যের কথায় কান না দিয়ে নিজেকে সঠিক পথে হাঁটতে হবে।
পরীক্ষায় ফেল করা সকল শিক্ষার্থীর বাবা মাকে অনুরোধ করবো সন্তানরা যেমন ভালো রেজাল্ট করলে আপনারা বুকে টেনে নেন তেমনই তারা খারাপ রেজাল্ট করলেও বুকে টেনে নিবেন। ভালোবাসার কমতি যেন না হয়। তাদের বোঝাবেন আজ হেরে গেছ, কাল তুমি জয়ী হবে। সবচেয়ে বড় কথা আত্মহত্যা কখনোও সঠিক সমাধান হতে পারে না। এর চেয়ে ভালো ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সেই ভুলটা শুধরে নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে চলা।