
ছোট থেকে বড় হওয়ায় আমার মায়ের অবদান আমি কোনো দিনও ভূলতে পারব না, প্রায় সব সময় দেখতাম মা আমাকে নিয়ে একটু বেশি চিন্তিত, মা হাজার ব্যস্ত থাকলেও আমার জন্য থাকে তার অফুরন্ত সময়।
আমি তখন দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ি। আমি কী খাব, কী পোশাক পরব, কখন বিদ্যালয়ে যাব সাথে টিফিনে কী নিয়ে যাব এই সব নিয়ে সব সময় ভাবতেন এবং আমার স্কুল ব্যাগ নিয়ে আমার সাথে বিদ্যালয়ে যেতেন। আমি প্রায় তিন ঘণ্টা ক্লাস করতাম মা বাইরে আমার জন্য বসে থাকতেন।
বিদ্যালয় ছুটির পর মা আমাকে বাসায় নিয়ে আসতেন। এক থেকে দুই ঘণ্টার মধ্যে খাওয়া ও অল্প একটু বিশ্রাম নিয়েই আমাকে নিয়ে যেতেন কোচিংয়ে।
সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত আমিই ছিলাম তার দিনের একমাত্র রুটিন। কিন্তু বাবা ব্যস্ত থাকায় তাকে কাছে পেতাম না তেমন। আমার যা প্রয়োজন সব কিছু দিতেন মা। বাবার সামনে মনে হয় আমি কোনোদিন সাহস করে তেমন কিছু কথা বলতে পারিনি। সব সময় শাসনে রাখতে।
বাবা বকে দিলে মা এসে শান্তনা দিতেন। বলতেন, তোর বাবা তোকে অনেক ভালোবাসে তাই মাঝে মাঝে একটু বকা দেন।
এখন আমি বড় হয়েছি মাকে বেশি সময় দিতে পারি না। কলেজ, পড়াশোনা, কোচিং এই সব নিয়ে আমার দিন পার হয়ে যায়। তবুও চেষ্টা করি যতই ব্যস্ত থাকি না কেন মায়ের জন্য একটু সময় বের করতে, ছোটবেলার বিষয়গুলো নিয়ে গল্প করতে। বাসায় ফেরার সময় মায়ের পছন্দের কিছু নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।