আমার সোনালী শৈশব
যখন আমি তৃতীয় বা চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ি তখন মাঝে মাঝেই বাবার সঙ্গে বাজারে যেতাম। বাবা একটা বাজারের ব্যাগ ধরতেন আর আমি একটা ব্যাগ ধরতাম।
দুই বাপ ছেলে বাজার করতাম প্রতি শুক্রবার এক সাথে। মাছের দোকানে যখন যেতাম বাবা বলতেন, “কোন মাছটা কিনব বাবা?”
আবার যখন মাংসের দোকানে যেতাম তখন কসাই আংকেলকে বাবা বলতেন, “ভাই ভালো দেখে মাংস দিন। আমার ছেলে গরুর মাংস খুব ভালোবাসে। আর একটু ভালো দেখে কলিজা দিয়েন, কেমন ভাই?”
কী আদরের দিন ছিল! দুঃখের বিষয় আসলেই অনেক বড় হয়ে গেছি। ছোট থাকতে প্রতি শুক্রবার বাজারে যেতাম, কিন্তু এখন তিন মাসে ছয় মাসে একবার বাবার সঙ্গে যাওয়া হয় না। যদি পারতাম ছোট্টবেলায় ফিরে যেতে, যদিও সেটা সম্ভব না তবুও মন চায়।
ছোট্ট বেলাটা অনেক ভালো ছিল। না ছিল ইন্টারনেট না ছিল মোবাইল ফোন। সকালে উঠে স্কুলে যেতাম, দুপুরে ফিরতাম। স্কুল থেকে ফিরে আসার পর শুরু হতো খেলাধুলা। চোর পুলিশ, গোল্লা ছুট কত খেলা।
জীবন আর সে শৈশবের মতো সহজ হবে না জানি। যত বড় হবো জীবনের জটিলতা হয়তো বাড়বে। ছোটবেলার মতো উচ্ছ্বাস, সারল্য আর কোথায় পাব?