প্রতিযোগিতার সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় হয় ৮ বছর বয়সে, যখন আমি প্রথম শ্রেণির ছাত্র। একদিন বাবা এসে বললেন, ‘নাফি হাতের লেখা প্রতিযোগিতায় নাম দেবে?’
আমি ভাবলাম কী না কী? কোনো খেলা হবে হয়ত। লাফাতে লাফাতে সম্মতি দিয়ে দিলাম, প্রতিযোগিতা করব। ব্যস শুরু হলো খেলাধুলা বাদ দিয়ে লেখালেখি। একদিনে একটা খাতা শেষ করে ফেললাম।
ছোটবেলা থেকে আমার হাতের লেখা সুন্দর ছিল। তাই আমার বাবা মায়ের আশাও ছিল বড়। আন্তঃজেলা হাতের লেখা প্রতিযোগিতা বলে কথা। ভয়ে তো আমার ক্ষুধাই নষ্ট হয়ে গেল, খাদ্যনালী যেন বিদ্রোহ করে বসল।
প্রতিযোগীর চেয়ারে বসে মনে হচ্ছিল, আমি মরেই যাব। হার্ট হয়তো কয়েকটা বিট মিসও করে ফেলল মনে হলো। আমার জীবনের মর্মান্তিক দিন হিসেবেকে সেইদিনকে আমি আখ্যা দিতে ফেলেছি।
ঐ মর্মান্তিক দিনের আনন্দের সংবাদ হলো আমি প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছিলাম। এরপর আর কী? প্রতিযোগিতাকেই আপন করে নিয়েছি। হয়ে গেছি বেস্ট ফ্রেন্ড। শেরপুর শহরে এখন আর এমন কোনো গান, রচনা, আবৃত্তি, বক্তৃতা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা হয় না যেখানে আমি নাম লিখি না। এ পর্যন্ত ৬০টির বেশি প্রতিযোগিতাতে অংশ নিয়েছি।