তবে অবাক হয়েছি লাউহাটি উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে। সেখানে মুন্নী নামের এক শিক্ষার্থী দুই হাত না থাকায় পা দিয়ে এবারের প্রাথমিক সমপনী পরীক্ষা দিচ্ছে।
জানা যায়, সিএনজি চালক ইউনুস মিয়ার মেয়ে মুন্নি আক্তার। বাড়ি দেলদুয়ার উপজেলার বাউসাইদ গ্রামে। পড়ালেখার প্রতি ভালোবাসা না থাকলে কেউ এত প্ররিশ্রম করে না।
মুন্নীর ভাষায়, "আমারে অনেকে প্রতিবন্ধী বলে ছোট করে, আমার খুব খারাপ লাগে! কষ্টও পাই তবে বইয়ের পাতা খুলেই আবার সব ভুলে যাই।
“আমার পড়ালেখা করতেই অনেক ভালো লাগে।”
দুই হাত না থাকা মুন্নির যদি পড়ালেখার প্রতি এতো ভালোবাসা আর আকুতি থাকে তাহলে একবার রাস্তার ঐ সুস্থ স্বাভাবিক ছেলে বা স্টেশনে বোতল কুড়ানো মেয়ে শিশুটার কথা ভাবুন। না জানি ওদেরও কত ইচ্ছে করে বছরের প্রথম দিন নতুন বইয়ের ঘ্রাণ নিতে।
হয়তো কারো ইচ্ছে করে কাগজ কুড়ানো বা ভিক্ষা বাদ দিয়ে বই নিয়ে স্কুলে যেতে। বন্ধুদের সাথে মাঠে খেলাধুলা করতে কিন্তু এইসব ভাবনা শুধু কল্পনায়ই থেকে যায়, কোনো দিন বাস্তবে রূপ নেয় না।
ওদের স্বপ্ন পূরণ হয় না বলে অনেকে রাগ করে স্বপ্ন দেখাই বাদ দিয়ে দিয়েছে হয়ত।
“স্বপ্ন দেহি না, দেইখা কী লাভ কন যদি হেইডা হইবার না পারি,-” এক পথ শিশুর কথা এখনো আমার কানে বাজে। আমরা সবাই মুখে সব শিশুর সমান অধিকারের কথা বললেও ওদের কতটুকু অধিকার দিচ্ছি আমরা?
তাহলে সমাজ বা রাষ্ট্র কী একেবারেই ব্যর্থ?