মামা বললেন, মামীদের বাসা থেকে সোলারের ব্যাটারি আমাদের বাসায় আনতে হবে। রাতে আমার মামাতো বোন গরমের ঘুমাতে পারেনি বলেই ব্যাটারিটা জরুরি ছিল।
সন্ধ্যায় বড় মামার মটর সাইকেল নিয়ে ছোট মামা এবং আমি রওনা দেই মামীর বাড়ির উদ্দেশ্যে।
বলে রাখা ভালো বিকেলে বৃষ্টি হওয়ায় ইটের রাস্তা অনেক পিচ্ছিল ছিল। তাই মামাম ধীরে বাইক চালাতে বললেন। আমিও খুব সাবধানে চালিয়ে, মামীদের বাড়িতে পৌঁছাই।
হালকা নাস্তা শেষে সোলারের ব্যাটারিসহ আমরা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেই। বৃষ্টি থাকায় কোথাও কাদা আবার কোথাও শুকনা ছিল।
বাড়ির কাছাকাছি পৌঁছে রাস্তার অবস্থা খারাপ দেখে মামা তাকে নামিয়ে দিতে বললেন। কিন্তু আমি বললাম মামা আস্তে যাচ্ছি, সমস্যা হবে না।
কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ঘটে গেল মারাত্মক দুর্ঘটনা। মোটরসাইকেল পড়ে যায় খাদে আমি মোটরসাইকেলের নিচে চাপা পড়ে যাই, মামা ছিটকে অনেক দূরে পড়ে যান।
আমি কোনো মতে বেরিয়ে এসে দেখলাম মামার অবস্থা খারাপ। মামাকে ধরে বাড়ি নিয়ে যাই, মামার পা ভেঙে যায়। আমার মাথা, পা, হাত সব কেটে, ফেটে যায়। কিন্তু মামার অবস্থা দেখে আমার কোথায় কি হয়েছে তা বুঝতে পারছিলাম না।
মামাকে যখন ডাক্তার ট্রিটমেন্ট করে চলে গেলেন, মামার অবস্থা একটু ভালো হলো, তখন আমার খেয়াল হলো মাথা, হাত, পা দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে।
রাত পোহালেই ঈদ। মামার এবং আমার অবস্থা ভালো না। সেই রাতে ঘুম হয়নি কারো। পর দিন মামা ঈদের নামাজ পড়তে পারেননি, মামার ঈদের কয়েকদিন পর বিদেশে যাওয়ার একটা পরীক্ষা ছিল সেটাও দিতে পারেননি।
সেই দিনের ঘটনা ভাবলে নিজেকে অপরাধী মনে হয়। ভালোবাসি মামা তোমাকে, অনেক ভালোবাসি।