ছাত্রটা হয়তো খুব একটা ভালো না। তবুও মনে পড়ে সেই দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় প্রথম, দ্বিতীয় সাময়িক ও বার্ষিক পরিক্ষায় তিনবারই গণিতে ১০০ তে ১০০ পেয়েছিলাম। নতুন ক্লাস মানে তৃতীয় শ্রেণিতে রোল হয়ে গেল এক। সবার চোখেই খুব ভালো ছিলাম। এসব কথা মনে পড়লে এখনও মনে হয় এইতো কয়দিন আগের ঘটনা, কিন্তু এগুলো প্রায় ৮-৯ বছর আগের কথা।
তারপর পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে জিপিএ পাঁচ পেলাম। এর মধ্যেই জীবনে বেশ কিছু ঘটনা ঘটে গেছে। প্রেমে পড়ে গেলাম একজনের। সেসব কথা অন্যদিন হবে।
নবম ও দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় আমি লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলি। এর ফল স্কুলের পরীক্ষাগুলোতে হাতেনাতে পেয়েছি। আমাদের সময়ে স্কুলে পাশ করাটাই টাফ হয়ে গিয়েছিল। আমিও পাশের দলে ছিলাম না।
তারপর টেস্ট পরীক্ষায় একটু ভালো করে পড়লাম। আমি পাসের দলে চলে গেলাম।
এসএসসি পরীক্ষা দিলাম যেন ঝড়ের মতো। হলে ঢোকার আগে যেন ঝড় থাকতো আমাদের মাঝে। এর মানেটা হয়তো বুঝতেই পারছেন আমি আর বললাম না। যাইহোক পরীক্ষা শেষ হলো, রেজাল্ট হলো। পেলাম ৪.৭৮। খুব কষ্ট হলো। বাবা-মায়ের মুখে হাসি ফুটাতে পারলাম না বলে।
রেজাল্ট প্রকাশের দুই দিন পর আমার এক বন্ধু আমাকে আমার নাম্বারগুলো দেখতে বললো। আমি দৌড়ে গিয়ে আমার নাম্বার শিট বের করে আনলাম। নাম্বারগুলো দেখে আমার আগে আমার মা কেঁদে ফেললেন। পদার্থবিজ্ঞানে ৭৯, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়ে ৭৯, জীববিজ্ঞানে ৭৯, সাধারণ গনিতে ৭৮। খুব অল্পের জন্য জিপিএ পাঁচ পেলাম না।
মনে হচ্ছে জিপিএ পাঁচের জন্য হা হুতাশ করছি? হ্যাঁ করছি কারণ এই শিক্ষা ব্যবস্থা আমাকে শুধুমাত্র জিপিএ পাঁচের জন্য সরকারি কলেজের ভর্তির সুযোগ দেয়নি।