বিদ্যালয় জীবনে অনেক ঘটনা চোখের সামনে ঘটতে দেখেও প্রতিবাদ করার বা কোনো ভালো কিছুকে নিজের যোগ্যতায় তুলে ধরা সম্ভব হয়ে ওঠে নি। পারিনি। কিন্তু এখন 'শিশু সাংবাদিকতা' সেই সুযোগ করে দিয়েছে আমাকে। আমার মতো অনেককেই।
সাংবাদিকতায় থাকা মানুষগুলোর সাহসিকতার অনেক গল্প বাবার কাছে শুনেছি। গল্পশেষে বাবা একটা কথাই বলতেন, "বড় হয়ে একজন সাহসী মানুষ হতে হবে। সত্যের পথে চলতে হবে।"
আর তখন থেকে ধারণাটা ঠিক এরকম ছিল যে সাহসী হতে হলে সাংবাদিক হতেই হবে। তাই সবসময় এটাই উপলব্ধি করেছি, শিক্ষিত হওয়ার যাত্রায় একজন প্রকৃত মানুষ হয়েও গড়ে উঠতে হবে। শেষ পর্যন্ত সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে নেওয়া সম্ভব না হলেও ‘হ্যালো’র প্ল্যাটফরমে শিশু সাংবাদিকতার এই দ্বার উন্মোচিত হওয়ার ফলে সাংবাদিকতার সাথে সম্পৃক্ততা নিশ্চয় থাকবে। সেক্ষেত্রে বলা যায় ইচ্ছেটা অনেকটা পূরণ হয়েছে।
আশেপাশে ঘটে যাওয়া অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তোলার মতো অস্ত্র বা সাহস দুটোই যুগিয়েছে ‘শিশু সাংবাদিক’ এই খেতাব। আবার অদম্য সাহসীকতা এবং জয়ের গল্পগুলোও এখন তুলে ধরা সম্ভব হয়ে উঠছে।
দেশের প্রত্যেকটি মানুষ সাংবাদিকতা নামক পেশায় জড়িত না থেকেও যদি সত্যকে তুলে ধরার সাহসটুকু তাদের মধ্যে তৈরি হয়, তাহলে দেশে অন্যায় ঠেকাতে না পারলেও অন্তত অন্যায়গুলোর সুষ্ঠু বিচারের আশা রাখতেই পারেন। বিচারের দাবিতে সোচ্চার হতে পারেন। তাই আমার কাছে সাংবাদিকতা শুধুমাত্র একটি পেশা নয়, এটি একটি আদর্শ।