১৮ বছরের নিচে সবাইই তো শিশু। আমিও একজন শিশু। স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে আমারও কিছু অধিকার রয়েছে। যেমন, বেঁচে থাকার অধিকার, শিক্ষার অধিকার আরও অনেক অনেক অধিকার রয়েছে আমাদের। এর মধ্যে দুজন শিক্ষার্থীর সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুতে দেখলাম বেঁচে থাকার নিরাপত্তাই হুমকির মুখে। এই মৃত্যুর বিচার চেয়ে নিরাপদ সড়কের দাবি এখন আলোচনার শীর্ষে।
একটি নিরাপদ সড়কের জন্য শুধু কি বাস চালক আর লাইসেন্স ঠিক থাকলেই চলবে নাকি আমাদের সবাইকেই ট্রাফিক আইন মেনে চলতে হবে? সোনার বাংলা আমাদেরই গড়তে হবে তাই আমাদের সবাইকেই সচেতন হতে হবে। আমরা কেউই নিরাপদ নই কিন্তু চাইলেই পারি নিরাপদ থাকতে।
শুধু সড়কেই নয়, বিপদ সর্বত্র। সবার তো পরিবার আছে। মা, বাবা, আত্মীয়, সমাজ, রাষ্ট্র সবাই মিলে চাইলেই একটি নিরাপদ দেশ গড়ে তোলা কঠিন হবে না। সমাজের ছেলেটা চাইলেই পারে সহপাঠী মেয়েটিকে একটু নিরাপত্তা দিতে। একজন বড় মানুষ বাড়ির কাজের ছেলেটির উপর অন্যায় কিছু করার আগে একবার তো ছেলেটিকে তার সন্তানের জায়গায় ভাবতেই পারেন।
আচ্ছা এমন একটা সমাজ কি আমরা তৈরি করতে পারি না, যেখানে কেউ কাওকে বিপদেই পড়তে দেবে না। চাইলেই পারি! নিজের পরিবারের সদস্যদের যেভাবে আগলে রাখি সমাজটাও তো আগলে রাখা যায়। আমরা নিজের দোষ খুঁজে যদি নিজেকে শোধরাই, অনেক সমস্যা মিটে যাবে।
সবাই একসাথে মিলে দেশটার মেরামত করতে পারি। যেমন শুরু করেছিল সারাদেশের স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। ওরা সড়কে শৃঙ্খলা আনতে পথে নেমেছিলাম। এরকম করে শুধু নিজের কথা না ভেবে গোটা দেশটার কথা ভাবলেই এই দেশটাই হয়ে উঠবে দুর্নীতিমুক্ত, সুশৃঙ্খল দেশ। সেটা শুধু আমাদের শিশুদের নয়, বড়দের জন্যও হবে মঙ্গলের।