পেটটি পুরে পায় না খেতে

চোখকান খোলা না রাখলেও আমাদের চারপাশে হামেশাই দেখতে পাই অনেক গরিব শিশু। যারা মৌলিক অধিকার থেকেও বঞ্চিত। তাদের পাশে দাঁড়ানোর মতো মানুষ খুবই নগণ্য। তাই এসব শিশু অসহায়ই রয়েই যায়।
পেটটি পুরে পায় না খেতে

এ শিশুরা পেট পুরে খেতে পাচ্ছে না। ভালো পোশাক পরতে পারছে না। গায়ে ছেঁড়া ও মলিন পোশাক। এমনকি বাড়িঘরও নাই অনেকের। ফুটপাত, রেলস্টেশন বা অন্যের বাড়ির বারান্দাতে ঘুমায় তারা। 

সুবিধা ও অধিকারবঞ্চিত এসব শিশু স্কুলে পড়ার ক্ষমতা নাই। পাতে ভাত নাই, ওষুধ পায় না অসুখে। তারা যেন জন্মেছে শুধু কষ্ট পাওয়ার জন্য।

অথচ প্রত্যেক মানুষই চায় সুখে থাকতে। তাই সবাই নিজের চাহিদা পূরণে ব্যস্ত। সচ্ছল যারা, নিজের সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য সম্পদ জমা করে রাখতে চায়। তাছাড়া সমাজের মানুষের মধ্যে আজ সম্পদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা দেখা যাচ্ছে। এ যেন, ‘এ জগতে হায় সেই বেশি চায়, আছে যার ভুরি ভুরি’। অতএব অসহায় শিশুর খেয়াল কেনই বা রাখবে কেউ?  

কিন্তু আমার মতো কিশোরও যদি জানে, একটি দেশের জনগণের সমষ্টি মিলেই একটি জাতি, তাহলে বড়রা বা বিত্তশালীরা বোঝেন না কেন?

আমি এও বুঝি, একটি জাতিকে এগিয়ে নিতে হলে এবং সমৃদ্ধ দেশ গড়তে হলে দেশের প্রত্যেক মানুষকে এগিয়ে থাকতে হবে, সমৃদ্ধ হতে হবে। স্পষ্ট করে বলা যায়, একটি দেশের অসহায় শিশুদের পেছনে রেখে, তাদেরকে অসহায়ত্বের মধ্যে রেখে একটি জাতি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসাবে পরিচিত হতে পারে না।

সুতরাং একজন সাবলম্বী ও সচ্ছল মানুষ যদি একজন অসহায় শিশুর পাশে দাঁড়ান তাহলেই অসহায় শিশুদের জীবনের ছবি পালটে যাবে। দেশের প্রত্যেকটি জেলায় যদি একটি সংগঠন থাকে যারা অসহায় শিশুদের উন্নয়নে সত্যিকার অর্থে কাজ করবে, তাহলে একদিন এ দেশটি হবে স্বপ্নপুরী!

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com